নাশকতার পরিকল্পনার অভিযোগে আটক মহেশখালীর ৮ বিএনপি নেতাকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। আজ শুক্রবার তাদের কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন আদালত।
গতকাল (২৭ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় পৌর এলাকায় নাশকতার অভিযোগে পুলিশ অভিযান চলায়। এ সময় পুলিশের সঙ্গে বিএনপি নেতাকর্মীদের সংঘর্ষে ১০ পুলিশ সদস্য আহত হন বলে পুলিশের দাবি।
মহেশখালী থানার ওসি প্রদীপ কুমার দাশ জানান, মহেশখালী উপজেলা বিএনপির সভাপতি ও সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান আবু বকর ছিদ্দিক সম্প্রতি ভারত সফর করেন। সেখানে তিনি সে দেশের আদালতে বিচারাধীন মামলার আসামি ও বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা সাবেক মন্ত্রী সালাহ উদ্দিন আহমদের সঙ্গে দেখা করে বিএনপির এমপি প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন নিয়ে আসেন বলে ঘোষণা দেন। বৃহস্পতিবার বিকেলে তার নেতৃত্বে একটি মিছিল হয় উপজেলা সদরে। পরে তারা পৌর শহরের লামার বাজার এলাকায় গিয়ে বিএনপি সভাপতি আবু বকরের অফিসে গোপন বৈঠকে মিলিত হন। এ সময় তারা নানা নাশকতার পরিকল্পনা নিচ্ছিলেন, এমন খবর পেয়ে আমার নেতৃত্বে থানা পুলিশের একটি দল অভিযান চালায়। অভিযান চলাকালে বৈঠককারীরা পুলিশের উপর চড়াও হয়। পরে পুলিশের আরো দুটি ইউনিট অভিযানে যোগ দেন।
এদিকে পুলিশ বিএনপি নেতা-কর্মীদের ছত্রভঙ্গ করতে লাঠিচার্জ ও অন্তত ৫ রাউন্ড গুলিবর্ষণ করে। পরে ঘটনাস্থল থেকে বিএনপির ৮ নেতাকে আটক করা হয়। তারা হলেন উপজেলা বিএনপি সভাপতি আবু বকর ছিদ্দিকের ছোট ভাই ও জেলা বিএনপির সহসভাপতি আতাউল্লাহ বোখারী, ছোট মহেশখালী বিএনপির সভাপতি আব্দুল করিম, মাতারবাড়ি বিএনপির সাধারণ সম্পাদক এস্তেফাজুল হক, ধলঘাটা বিএনপির ৯ নম্বর ওয়ার্ড সভাপতি মিন্নত আলী, শাপলাপুর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মো. ওসমান, মাতারবাড়ি শ্রমিক দলের সাধারণ সম্পাদক হাসান মুরাদ ও মহেশখালী উপজেলা যুবদলের সহসভাপতি কবির আহমদ।
আহত পুলিশ সদস্যদের মধ্যে রয়েছেন মহেশখালী থানার এসআই রাজু আহমদ গাজী, এএসআই জুয়েল, জায়েদ আজিজ, রাম ধন ও কুসুম বড়ুয়াসহ আরো ৫ কনস্টবল। তাদেরকে মহেশখালী হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে বলে পুলিশ জানায়।
এদিকে এ ঘটনায় পুলিশ বাদী হয়ে বিশেষ ক্ষমতা আইনে একটি ও পুলিশের কাজে বাধাদানের ঘটনায় আলাদা দুটি মামলা হচ্ছে। আবার নাম প্রকাশ না করার শর্তে বিএনপির এক নেতা বলেন, পুলিশ যড়যন্ত্র করে বিএনপির নেতা-কর্মীদের আটক করেছে।
আজ (২৮ সেপ্টেম্বর) দুপুরে আটক হওয়া বিএনপি নেতা-কর্মীদের আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে পাঠানো হয়।