পছন্দের যুবককে বিয়ে করতে আদালতে পৌঁছে গিয়েছিলেন এক তরুণী। হঠাৎ সেখানে হাজির হলেন তার বাবা-মা। বাবা চিৎকার করে জানালেন, তার মেয়ে করোনা পজিটিভ। এতেই বন্ধ হয়ে গেল বিয়ে। ঘটনাটি ঘটেছে ভারতের মধ্যপ্রদেশ রাজ্যের ইন্দোরে।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম ইন্ডিয়া টাইমস জানায়, ওই তরুণীর করোনাভাইরাস পরীক্ষা করতে দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু তখনও রিপোর্ট হাতে পায়নি পরিবার। তাকে ১৪ দিনের জন্য হোম আইসোলেশনে থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। এমনই সময় এই কাণ্ড ঘটান বাবা।
জানা গেছে, গত সোমবার ইন্দোরের ভালাই গ্রামের বাসিন্দা তরুণী ও তার প্রেমিক কয়েকজন বন্ধুকে নিয়ে জেলা আদালতে বিয়ে করার এফিডেফিড ফাইল করতে গিয়েছিলেন। আইনজীবী বীরেন্দ্র ভার্মা দরকারি কাগজগুলো জমা নিচ্ছিলেন। সেই সময় তরুণীর বাবা সেখানে গিয়ে উপস্থিত হন।
তিনিই আইনজীবীকে জানান যে, তার মেয়ে কোভিড-১৯ আক্রান্ত। এ কথা শুনেই ওই আইনজীবী তরুণীকে চলে যাওয়ার নির্দেশ দেন।
তবে আইনজীবী বীরেন্দ্র ভার্মার দাবি, দু’জনেই প্রাপ্তবয়স্ক এবং কারো শরীরে অসুস্থতার কোনো লক্ষণ তার চোখে পড়েনি। তবে তরুণীর পরিবার সেই বিয়ের পক্ষে ছিল না বলেই মনে করা হচ্ছে। তাই বিয়ে ভেঙে দিতে করোনাভাইরাসকে অজুহাত করেছেন তারা।
ওই আইনজীবী আরও জানান, মেয়েটির বাবার মুখ থেকে করোনাভাইরাস আক্রান্ত হওয়ার কথা জানতে পেরেই আদালতের বাকি কর্মীরাও সেখান থেকে বাড়ি চলে যান।