নজরুল লিখেছেন, ‘আমার কোন কূলে আজ ভিড়ল তরী, এ কোন সোনার গাঁয়’। ফিরিঙ্গিবাজার কালভার্টের নিচে এক সোনার বরণ দেহ পাওয়া গেছে। কার কোল খালি করে, কার বুকের ধন শেষতক পুলিশের খাতায় ‘অজ্ঞাত লাশ’ হলো সে এক করুণ কাহিনী। পুলিশের সুরতহাল প্রতিবেদন কোন কূলে ভিড়বে, সেটাই এখন প্রশ্ন।
শিশুটির ডান হাতের আঙ্গুলগুলো পঁচে সব খসে পড়েছে। সেই হাতে পরানো আছে বেগুণী রঙের চুরি। আরেক হাতের মাংস খসে গেছে। সে হাতের আঙ্গুলেরও একই দশা। পায়ের আঙ্গুলগুলোও মিলে গেছে মাটির সাথে। গলে গেছে চোখ দুটো। গোটা মরদেহটিই গলে পঁচন ধরেছে। গলায় ছিল একটি স্বর্ণ রঙের চেইন। শুক্রবার দুপুরে ফিরিঙ্গীবাজারে উদ্ধার হওয়া অজ্ঞাত পরিচয় এক মেয়ে শিশুর মরদেহের সুরতহালে উল্লেখ রয়েছে এসব তথ্য।
কোতোয়ালী থানার ওসি মোহাম্মদ মহসিন জানান, ফিরিঙ্গিবাজার এলাকার একটি কালভার্টের নিচ থেকে অজ্ঞাত এক শিশুর মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। পুলিশ বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে তদন্ত করছে।
তিনি আরও জানান, শিশুটির ডান হাতে একটি বেগুণী রঙের চুরি রয়েছে। গলায় স্বর্ণের রঙের একটি চেইন লাগানো ছিল। মরদেহটি গলিত অবস্থায় পাওয়া গেছে। হাতের আঙ্গুল নেই। পায়ে, মুখে পঁচন ধরেছে। মাথায় চুল নেই। গায়ে কোন পোশাকও ছিল না। চেহারা অবয়বও বোঝা যাচ্ছে না।
কোতোয়ালী থানার পরিদর্শক (তদন্ত) কামরুজ্জামান জয়নিউজকে বলেন, কতদিন আগে শিশুটির মৃত্যু হয়েছে সে ব্যাপারে আমরা নিশ্চিত হতে পারিনি। এ জন্য স্থানীয়দের সাথে কথা বলছি। কিছু বিষয়কে সামনে রেখে আমরা তদন্তে নেমেছি। প্রথমত গলার চেইনটি স্বর্ণের কিনা তা আমরা যাচাই-বাছাই করছি। বিষয়টি নিশ্চিত করতে স্বর্ণকারদের সহযোগিতা নিচ্ছি। যদি গলার চেইনটি স্বর্ণের হয় তাহলে ধরে নেওয়া যাবে এই মেয়ে কোন স্বাবলম্বী পরিবারের সন্তান।
তিনি আরো জানান, দেশের কোনো থানায় শিশু হারানোর সাধারণ ডায়েরি হয়ে থাকলে সে তথ্যের সাথে এ শিশুর মিল রয়েছে কিনা তাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে। শিশুটির মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজের মর্গে পাঠানো হয়েছে।
জয়নিউজ/অভি/জুলফিকার