প্রথম পাওয়ার প্লে শেষে ৬৫ রান। ২০ ওভার শেষে দলীয় রান বিনা উইকেটে ১২০। সেই ইনিংস গুটিয়ে গেল ২২২ রানে। এমন উড়ন্ত শুরুর পরও সবাই নেমেছিল যেন আত্মহত্যার মিছিলে! ব্যতিক্রম ছিলেন কেবল লিটন দাশ।
সেরাটুকু যেন তিনি জমিয়ে রেখেছিলেন ফাইনালের জন্য। এশিয়া কাপের ফাইনালে ভারতের বিপক্ষে ওপেনিংয়ে পেলেন নতুন সাথী। মিরাজকে সাথে নিয়ে দুর্দান্ত শুরু করা লিটন করলেন তার ক্যারিয়ারের প্রথম সেঞ্চুরি। ১১৭ বলের ইনিংসটিতে ছিল ১২ চার ও ২ ছয়ের মার।
প্রথম থেকেই মারমুখী ছিলেন লিটন। উইকেটের চারপাশে বাহারি সব শটে ব্যতিব্যস্ত করে রাখেন ভারতীয় বোলারদের। দুর্দান্ত খেলতে থাকা লিটন ৩৩ বলে তুলে নেন ওয়ানডে ক্যারিয়ারের প্রথম হাফ সেঞ্চুরি। এই সময় ড্রেসিংরুম থেকে মাশরাফি তার বুক চাপড়ে লিটনকে অভিনন্দন জানিয়ে হাতের ইশারায় ইনিংস বড় করার ইংগিত দেন।
হাফ সেঞ্চুরির পর কিছুটা ধীরলয়ে খেলে সেঞ্চুরি পূর্ণ করেন লিটন। ১২০ রানে মিরাজের (৩৫) বিদায়ে ভাঙে বাংলাদেশের ওপেনিং জুটি। এরপর ব্যক্তিগত দুই রানে ইমরুল ফিরে গেলে ক্রিজে আসেন মুশফিক। তিনিও বেশিক্ষণ টেকেননি। দলীয় ১৩৭ রানে উড়িয়ে মারতে গিয়ে ফেরেন মুশফিক (৫)।
ভুল বোঝাবুঝিতে মিঠুন (২) রানআউট হওয়ার পর ইনিংস মেরামতের সময়টাতেই আত্মহত্যার বড় নমুনাটা দেখান মাহমুদউল্লাহ। ছয় মারতে গিয়ে বাউন্ডারিতে ক্যাচ দিয়ে রিয়াদ (৪) যখন ফিরে যাচ্ছিলেন দল তখন ব্যাটিং বিপরযয়ে পতিত। এরপর লিটন-সৌম্য চেষ্টা করেছিলেন। কিন্তু ১৮৮ রানে লিটনের বিদায়ে বড় সংগ্রহের আশায় ভাটা পড়ে। সৌম্য একপ্রান্তে ৩৩ রানের ইনিংস খেললেও তাকে সঙ্গ দিতে পারেননি কেউ। তিনিও ফেরেন রান আউট হয়ে। এক ছক্কায় ৭ রানে বিদায় নেন মাশরাফি। অপু (৭), মুস্তাফিজ (২) আর রুবেলের (০) আসা যাওয়ার মিছিলে ৪৮ ওভার ৩ বলে বাংলাদেশ থামে ২২২ রানে।
জয়নিউজ/পার্থ/জুলফিকার