বিশ্বব্যাপী করোনাভাইরাস প্রাদুর্ভাবজনিত প্রেক্ষাপটে ঈদুল ফিতরের মতো ঈদুল আজহার নামাজের জামায়াতও খোলা জায়গার পরিবের্ত নিকটস্থ মসজিদে আদায়ের জন্য আহ্বান জানানো হয়েছে।
সোমবার (২৭ জুলাই) এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, দেশের শীর্ষ স্থানীয় আলেম ওলেমাগণ, সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় ও বিভাগের সঙ্গে সম্প্রতি ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে অনুষ্ঠিত এক সভায় জনস্বাস্থ্য বিবেচনায় এই সিদ্ধান্ত হয়।
সভায় নেওয়া সিদ্ধান্তগুলোর মধ্যে রয়েছে—
১. দেশে করোনাভাইরাস পরিস্থিতিতে মুসল্লিদের জীবন ঝুঁকি বিবেচনা করে এবছর ঈদুল আজহার জামাত ঈদগাহ বা খোলা জায়গার পরিবর্তে নিকটস্থ মসজিদে আদায় করতে হবে। প্রয়োজনে একই মসজিদে একাধিক জামায়াত আদায় করা যাবে।
২. ঈদের নামাজের জামায়াতের সময় মসজিদে কার্পেট বিছানো যাবে না। নামাজের পূর্বে সম্পূর্ণ মসজিদ জীবানুনাশক দ্বারা পরিষ্কার করতে হবে। মুসল্লিগণ প্রত্যেকে নিজ নিজ দায়িত্বে জায়নামাজ নিয়ে আসবেন।
৩. প্রত্যেককে নিজ নিজ বাড়ি থেকে ওযু করে মসজিদে আসতে হবে এবং ওযু করার সময় কমপক্ষে ২০ সেকেন্ড সাবান দিয়ে হাত ধুতে হবে।
৪. করোনাভাইরাস সংক্রমণ রোধ নিশ্চিত করতে মসজিদে ওযুর স্থানে সাবান/হ্যান্ড স্যানিটাইজার রাখতে হবে এবং মসজিদের প্রবেশদ্বারে হ্যান্ড স্যানিটাইজার/হাত ধোয়ার ব্যবস্থাসহ সাবান-পানি রাখতে হবে।
৫. ঈদের নামাজের জামাতে আগত মুসল্লিকে অবশ্যই মাস্ক পরে মসজিদে আসতে হবে। মসজিদে সংরক্ষিত জায়নামাজ ও টুপি ব্যবহার করা যাবে না।
৬. ঈদের নামাজ আদায়ের সময় কাতারে দাঁড়ানোর ক্ষেত্রে সামাজিক দূরত্ব ও স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ করে দাঁড়াতে হবে এবং এক কাতার অন্তর অন্তর কাতার করতে হবে।
৭. শিশু, বৃদ্ধ, যে কোনো ধরণের অসুস্থ ব্যক্তি এবং অসুস্থদের সেবায় নিয়োজিত ব্যক্তি ঈদের নামাজের জামায়াতে অংশগ্রহণ করা যাবে না।
৮. সর্বসাধারণের সুরক্ষার নিমিত্ত স্বাস্থ্য সেবা বিভাগ, স্থানীয় প্রশাসন ও আইন-শৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণকারী বাহিনীর নির্দেশনা অবশ্যই অনুসরণ করতে হবে।
৯. করোনাভাইরাস সংক্রমণ রোধে মসজিদে জামাত শেষে কোলাকুলি ও পরস্পর হাত মেলানো পরিহার করতে হবে।
ওপরে উল্লেখিত বিষয়গুলো বাস্তবায়ন নিশ্চিত করার জন্য খতিব, ইমাম, মসজিদ পরিচালনা কমিটি ও স্থানীয় প্রশাসনকে অনুরোধ করা হয়েছে।