বাপ-দাদার আমল থেকেই এ শিল্পের সঙ্গে জড়িত আমাদের পরিবার। দীর্ঘদিনের এ পেশায় এবারের ঈদটি সম্পূর্ণই ভিন্ন। অন্যান্য বছরগুলোতে কোরবানি ঈদের দশ বারোদিন আগ থেকেই ভীড় লেগে যেত দোকানে। কারখানায় দা-ছুরি-বটি তৈরি আর পুরনো হাতিয়ার শান দিতে কখন যে গভীর রাত হয়ে যে টেরই পেতাম না। প্রতিদিন আয় হতো ৩ থেকে ৪ হাজার টাকা। অথচ এখন দিনে তিন চারশ টাকারও বিক্রি হচ্ছে না।
এভাবেই একরাশ হতাশা নিয়ে কথাগুলো বলে যাচ্ছিলেন বান্দরবানের বাবু কর্মকার।
কোরবানির ঈদের আগে দম ফেলারও সময় পেত না বান্দরবানের কামাররা। কিন্তু করোনার কারণে আর্থিক সংকটে এবছর কোরবানি দিচ্ছেন না অনেক পরিবার। গতবারের তুলনায় দা-ছুরি-বটিসহ কোরবানির বিভিন্ন হাতিয়ার বিক্রির পরিমাণটাও নেমেছে অর্ধেকে। তাই শুধু বাবু কর্মকার নন এ পেশার সঙ্গে জড়িত সবার এখন নুন আনতে পান্তা ফুরানোর মতো অবস্থা।
বান্দরবানের বাজার ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক বিমল দাশ বলেন, করোনায় কারণে আগের মতো কোরবানির পশুর হাটে নেই পশু বিক্রি।কোরবানির সময়টা হচ্ছে কামার শিল্পীদের জন্য ভরা মৌসুম। সারাবছর কোরবানির ঈদের অপেক্ষায় বসে থাকেন তাঁরা। কিন্তু তাদের ব্যবসায় এখন বেশ মন্দা। কোরবানির হাতিয়ারগুলো তৈরি করতে যতটুকু খরচ হয়েছে তাও এখন উঠছে না।