নগরের কোরবানীগঞ্জ থেকে চোরাই স্বর্ণ কেনা-বেচার অভিযোগে দুলাল বণিক (৫৩) ও আনোয়ার (২৮) নামে দুই ব্যক্তিকে আটক করেছে পুলিশ।
আটক দুলাল কোরবানীগঞ্জের মৃত লালমোহন বণিকের ছেলে ও আনোয়ার কুমিল্লার হোমনা থানার আহেদ আলীর ছেলে। আনোয়ার বর্তমানে বাকলিয়ার তুলাতলী এলাকায় ভাড়া বাসায় থাকে।
সোমবার (২৭ জুলাই) তাদের আটক করা হয়। মঙ্গলবার (২৮ জুলাই) দুপুরে নগর পুলিশের দক্ষিণ জোনের উপকমিশনার কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে অতিরিক্ত উপকমিশনার (দক্ষিণ) শাহ মুহাম্মদ আব্দুর রউফ এ তথ্য জানান।
এসময় উপস্থিত ছিলেন কোতোয়ালি জোনের সহকারী কমিশনার নোবেল চাকমা, কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মহসীন ও পরিদর্শক (তদন্ত) মো. কামরুজ্জামান।
সংবাদ সম্মেলনে আব্দুর রউফ জানান, সোমবার দুপুর ২টার পর কোতোয়ালির গনি বেকারীর মোড় থেকে ২১টি ইয়াবাসহ আনোয়ার নামে এক ব্যক্তিকে আটক করা হয়। পরে জিজ্ঞাসাবাদে আনোয়ার একাধিক মাদক, অস্ত্র ও চুরির মামলার আসামি বলে স্বীকার করে।
আনোয়ার আরও জানায়, কোরবানীগঞ্জ এলাকায় দুলাল বনিক নামের এক ব্যক্তির কাছে সে চোরাই স্বর্ণালঙ্কার বিক্রয় করে এবং আরও অনেক চোর থেকেও দুলাল বনিক চোরাই স্বর্ণ কিনে থাকে।
এ তথ্য পেয়ে কোরবানীগঞ্জ দুলাল বণিকের বাসায় অভিযান চালায় কোতোয়ালি থানা পুলিশ। অভিযানে বাসার আলমারির ড্রয়ারে ১৭ ভরি ১২ আনা ৩ রতি চোরাই স্বর্ণালঙ্কার পাওয়া যায়। এসময় তার জব্দকৃত স্বর্ণালঙ্কারের কোনো বৈধ কাগজপত্র পাওয়া যায়নি।
ওসি মো. মহসীন বলেন, আনোয়ারসহ তিনি বিভিন্ন স্বর্ণ চোরদের কাছ থেকে কম মূল্যে স্বর্ণ ক্রয় করেন। এরপর নগরের বিভিন্ন লোকের কাছে অধিক মূল্যে তা বিক্রি করেন।