আখতারুজ্জামান ফ্লাইওভার ও আশপাশ এলাকায় গাম খেয়ে ছিনতাই কাজে জড়িত থাকার অভিযোগে এক যুবক ও দুই কিশোরকে আটক করেছে পুলিশ। এসময় ছিনতাই কাজে ব্যবহৃত তিনটি মোবাইল ও ছোরা উদ্ধার করা হয়।
মঙ্গলবার (২৮ জুলাই) রাতে তাদের আটক করা হয়। আটককৃতরা হলেন-মো. নুরনবী (১৮), মো. ফয়সাল (১৬) ও সজিব (১৬)।
আটক নুরনবী পাঁচলাইশের তালতলা সিলেটি কলোনির মো. খলিলের ছেলে, ফয়সাল ষোলশহর ফ্লাইওভারের নীচে ভাসমান মৃত জাহাঙ্গীরের ছেলে ও সজিব ষোলশহর রেলস্টেশনে ভাসমান রুস্তম আলীর ছেলে।
পাঁচলাইশ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবুল কাশেম ভূইয়া জয়নিউজকে জানান, আরিফুল ইসলাম (৩৫) নামে এক যুবক জিইসি মোড় থেকে রিকশা করে ষোলশহর তালতলা নিজ বাসায় ফিরেছিলেন। তিনি ষোলশহর এসএ পরিবহন পার্সেল অফিসের সামনে আসলে হাতে থাকা এমআই রেডমি নোট এইট মডেলের মোবাইল ফোন হঠাৎ করে ছিনিয়ে নিয়ে চিটাগং শপিং কমপ্লেক্সের দিকে পালিয়ে যাওয়ার সময় পুলিশ ও স্থানীয়দের সহায়তায় তাদের আটক করা হয়। পরে পুলিশ তাদের কাছ থেকে ছিনতাইকৃত একটি Samsung Dous, Model Sm G, 530H মোবাইল সেট এবং দুটি নকিয়া মোবাইল সেট উদ্ধার করা হয়।
এসময় তারা আরিফুল ইসলামের মোবাইল সেট ছিনিয়ে নেওয়ার কথা স্বীকার করে এবং ছিনিয়ে নেওয়া মোবাইলটি তাদের ভাসমান সহযোগী ইসমাইলকে কৌশলে দিয়ে দেই বলে জানায়।
তারা আরো স্বীকার করে আখতারুজ্জামান ফ্লাইওভার, ফ্লাইওভারের নিচে ষোলশহর স্টেশন ও আশপাশে ভাসমান অবস্থায় থেকে গাম খেয়ে নেশা করে বিভিন্ন মানুষের কাছ থেকে মোবাইল টাকা-পয়সা ছিনিয়ে নেয়।
তাদের অপর সহযোগীদের আটকের জন্য রাতভর বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালানো হয়। তাদের জিজ্ঞাসাবাদের ভিত্তিতে বুধবার আড়াইটার দিকে বন গবেষণাগার স্কুল মাঠের দক্ষিণ-পূর্বকোণে ঝোপের মধ্যে লুকানো অবস্থায় একটি শপিং ব্যাগে রক্ষিত তিনটি ছোড়া উদ্ধার করা হয় বলে জানায় পুলিশ।