আবারো নতুন করে লক্ষ্মীপুরে মেঘনার ভাঙন দেখা দিয়েছে। স্রোতস্বিনীর ছোবলে তছনছ হয়ে নদীগর্ভে তলিয়ে গেছে অনেকের শেষ আশ্রয় বসতভিটাও। সহায় সম্বল হারিয়ে তাঁদের ঠাঁই মিলেছে রাস্তার পাশে। এখন তিন উপজেলার অন্তত ২০০ বেশি পরিবারের জীবন কাটছে উদ্বেগ-উৎকন্ঠায়।
জানা যায়, এ ভাঙনে গেল ৩১ বছরে সদর, কমলনগর ও রামগতি উপজেলার ২৭ কিলোমিটার বেড়িবাঁধসহ ১২ হাজার হেক্টর জমি নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। এবছর বর্ষায় প্রবল স্রোতে নতুন করে সদর উপজেলার চর রমনী মোহন, রামগতি উপজেলার বালুরচর, সুজন গ্রাম, বাংলা বাজার, আসলপাড়া, বড়খেরী, টাঙ্কীবাজার, কমলনগর উপজেলার চর কালকিনি, চর ফলকন, সাহেবের হাট, পাটোয়ারীর হাট এলাকাসহ তিনটি উপজেলার জমি প্রতিদিন বিলীন হচ্ছে নদীগর্ভে।
স্থানীয়দের অভিযোগ, নতুন করে তিনটি উপজেলার অনেক স্থানে মেঘনার ভাঙন শুরু হলেও শুধুমাত্র কমলনগর লুধুয়া এলাকায় নদীর ভাঙন ঠেকাতে বালু ভর্তি কয়েকটি টিউব ফেলে পুরো টাকা লুটপাট করছে পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তারা। তাই নদী ভাঙনরোধে ৩১ কিলোমিটার বাঁধ রক্ষার জন্য পানি উন্নয়ন বোর্ড প্রকল্পটি দ্রুত বাস্তবায়নের জন্য প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করেন এলাকাবাসী।
লক্ষ্মীপুর পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপবিভাগীয় প্রকৌশলী ফারুক আহাম্মেদ জানান, লক্ষ্মীপুরে মেঘনার ভাঙ্ন বেড়েছে। ভাঙন কবলিত এলাকা রক্ষা করা না গেলেও তা কম হওয়ার জন্য পরীক্ষামূলকভাবে শুধু কমলনগরে লুধুয়া এলাকায় নদীতে বালু ভর্তি টিউব ফেলার কাজ চলছে।
এব্যাপারে যোগাযোগ করা হলে জেলা প্রশাসক অঞ্জন চন্দ্র পাল বলেন, ইতোমধ্যে ভাঙ্গন প্রতিরোধে ৩১ কিলোমিটারের জন্য তিন হাজার ২০০ কোটি টাকার একটি প্রকল্প মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে। সেটি একনেকে অনুমোদন পেলে কাজ শুরু হবে।
জয়নিউজ/পিডি