ঈদুল আজহার নামাজ শেষে জবাইকৃত পশুর বর্জ্য অপসারণে ব্যস্ত সময় পার করছে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের (চসিক) সেবকরা। বিভিন্ন এলাকায় ঘুরে এমন চিত্র দেখা যায়।
শনিবার (১ আগস্ট) মুসল্লিরা কোরবানি দেওয়ার পর পর বর্জ্য অপসারণ করছেন তারা।
চসিক বর্জ্য ব্যবস্থাপনা স্থায়ী কমিটির সভাপতি কাউন্সিলর শৈবাল দাশ সুমন জয়নিউজকে বলেন, করপোরেশনের ৪ হাজার শ্রমিক বর্জ্য অপসারণে কাজ করছে। ব্যবহার করা হচ্ছে ৩৫০টি গাড়ি, পশু জবাইকৃত স্থানে ২০ টন ব্লিচিং পাউডার ছিটানোর ব্যবস্থা করা হয়েছে। বিকেল ৫টার মধ্যেই নগরের ৪১টি ওয়ার্ডের বর্জ্য অপসারণ করা হবে বলেন তিনি।
চসিক সূত্রে জানা গেছে, এবার চারটি জোনে ভাগ করে একইসঙ্গে কোরবানির পশুর বর্জ্য অপসারণ করা হচ্ছে। চার জোনের দায়িত্বপ্রাপ্ত কাউন্সিলররা হচ্ছেন-মোবারক আলী (১, ২, ৩, ৪, ৫, ৬, ৭, ৮, ১৫ ও ১৬ নম্বর ওয়ার্ড), কাউন্সিলর মো. আবদুল কাদের (২৩, ২৭, ২৮, ২৯, ৩০, ৩৬, ৩৭, ৩৮, ৩৯, ৪০ ও ৪১ নম্বর ওয়ার্ড), কাউন্সিলর নুরুল হক (১৭, ১৮, ১৯, ২০, ২১, ২২, ৩১, ৩২, ৩৩, ৩৪, ৩৫ নম্বর ওয়ার্ড) ও কাউন্সিলর মোরশেদ আকতার চৌধুরী (৯, ১০, ১১, ১২, ১৩, ১৪, ২৪, ২৫ ও ২৬ নম্বর ওয়ার্ড)।
এছাড়া বর্জ্য অপসারণের বিষয়টি তদারকি করছেন ৪১টি ওয়ার্ডের দায়িত্বপ্রাপ্ত পরিচ্ছন্ন বিভাগের সুপারভাইজাররা। তাদের কাজের সুবিধার্থে দেওয়া হয়েছে ওয়াকিটকি, গাড়ি ও টমটম গাড়ি। করপোরেশনের পক্ষ থেকে বর্জ্য অপসারণে দামপাড়া চসিক কার্যালয়ে একটি নিয়ন্ত্রণ কক্ষও খোলা হয়েছে।