টানা পঞ্চমবারের মতো নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে ঈদুল আজহার বর্জ্য অপসারণ করে রেকর্ড গড়লো চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন (চসিক)। সিটি মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীনের সার্বিক তত্ত্বাবধানে শনিবার (১ আগস্ট) বিকেল ৪টার মধ্যে নগরের মূল সড়কগুলো থেকে পশুর সব বর্জ্য অপসারণ করা হয়েছে।
এদিকে কোরবানির বর্জ্য ব্যবস্থাপনা পরিদর্শন করেছেন সিটি মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন। তিনি নগরের বিভিন্ন সড়ক এবং পরিচ্ছন্ন কর্মীদের বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কার্যক্রম পরিদর্শন করেন।
মেয়র নাছির পোর্ট কানেকটিং রোডস্থ সেকেন্ডারি ট্রান্সফার স্টেশন, নিমতলা বিশ্বরোড মোড়, মহাজন ঘাটা ডাস্টবিনে বর্জ্য ব্যবস্থাপনা পরিদর্শন করেন। এছাড়া জামালখান, আন্দরকিল্লা, কাজির দেউড়ি, আগ্রাবাদ, ইপিজেড, বন্দর এলাকাও পরিদর্শন করেন তিনি।
পরিদর্শনকালে মেয়র নাছির জয়নিউজকে বলেন, চারটি জোনে ভাগ করে বর্জ্য অপসারণ কাজ শুরু করে চসিক। বিকেল ৪টার মধ্যে নগরের মূল সড়কের সব বর্জ্য অপসারণ করা হয়েছে। এরপর সেখানে দুর্গন্ধ না ছড়ানোর জন্য পর্যাপ্ত পানি ও ব্লিচিং পাউডার ছিটানো হয়েছে। রাত ৮টার মধ্যে নগরের অলিগলির ভেতরের সব বর্জ্য অপসারণ করা হবে।
এছাড়া ঈদের দ্বিতীয় ও তৃৃৃতীয় দিন যারা পশু কোরবানি দিবেন তাদের জন্য ৪১টি ওয়ার্ডে চসিকের স্পেশাল টিম করা আছে ৷ কোরবানির বর্জ্য অপসারণে কোনো প্রকার ছাড় দেওয়া হয়নি গত পাঁচ বছর।- যোগ করেন তিনি।
এর আগে বিকেল ৪টার মধ্যে মূল সড়ক এবং রাত ৮টার মধ্যে ভেতরের অলিগলি থেকে সব বর্জ্য অপসারণের ঘোষণা দিয়েছিলেন মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন।
এ সময় মেয়রের সঙ্গে কাউন্সিলর হাসান মুরাদ বিপ্লব, শৈবাল দাশ সুমন, চসিক প্রধান প্রকৌশলী লে. কর্নেল সোহেল আহমদ, মেয়রের একান্ত সচিব আবুল হাশেম, তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী সুদীপ বসাক, প্রধান পরিচ্ছন্ন কর্মকর্তা শফিকুল মান্নান, মোরশেদুল আলম, নগর যুবলীগ নেতা সুমন দেবনাথ, ওয়াহিদুল আলম শিমুল, লিটন রায় চৌধুরী, ওয়ার্ড আওয়ামী লীগ নেতা এস এম মামুনুর রশীদ ও মো. তাজউদ্দিন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
জানা যায়, করপোরেশনের ৪ হাজার শ্রমিক বর্জ্য অপসারণে কাজ করছে। এ কাজে ব্যবহার হচ্ছে ৩৫০টি গাড়ি। এছাড়া পশু জবাইকৃত স্থানে ২০ টন ব্লিচিং পাউডার ছিটানোর ব্যবস্থা করা হয়েছে।
চসিক সূত্রে জানা গেছে, এবার ৪টি জোনে ভাগ করে একইসঙ্গে কোরবানির পশুর বর্জ্য অপসারণ করা হচ্ছে। ৪টি জোনের দায়িত্বপ্রাপ্ত কাউন্সিলর মোবারক আলী (১, ২, ৩, ৪, ৫, ৬, ৭, ৮, ১৫ ও ১৬ নম্বর ওয়ার্ড), কাউন্সিলর মো. আবদুল কাদের (২৩, ২৭, ২৮, ২৯, ৩০, ৩৬, ৩৭, ৩৮, ৩৯, ৪০ ও ৪১ নম্বর ওয়ার্ড), কাউন্সিলর নুরুল হক (১৭, ১৮, ১৯, ২০, ২১, ২২, ৩১, ৩২, ৩৩, ৩৪, ৩৫ নম্বর ওয়ার্ড) ও কাউন্সিলর মোরশেদ আকতার চৌধুরী (৯, ১০, ১১, ১২, ১৩, ১৪, ২৪, ২৫ ও ২৬ নম্বর ওয়ার্ড)।
বর্জ্য অপসারণের বিষয়টি তদারকি করছেন ৪১টি ওয়ার্ডের দায়িত্বপ্রাপ্ত পরিচ্ছন্ন বিভাগের সুপারভাইজাররা। তাদের কাজের সুবিধার্থে দেওয়া হয়েছে ওয়াকিটকি, গাড়ি, টমটম গাড়ি। করপোরেশনের পক্ষ থেকে বর্জ্য অপসারণে দামপাড়া চসিক কার্যালয়ে ১টি নিয়ন্ত্রণ কক্ষ খোলা হয়েছে।