টেকনাফের শাপলাপুরে পুলিশের গুলিতে সাবেক সেনা কর্মকর্তা নিহতের ঘটনায় তদন্ত শুরু হয়েছে।
আগামী সাত দিনের মধ্যে প্রতিবেদন জমা দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের গঠিত তদন্তদলের প্রধান চট্টগ্রামের অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার মো. মিজানুর রহমান।
মঙ্গলবার (৪ আগস্ট) বিকাল সাড়ে ৩ টায় কক্সবাজার হিলডাউন সার্কিট হাউজে তদন্ত কমিটির বৈঠক শেষে তিনি এ কথা বলেন। সকাল সাড়ে ৯ টায় শুরু হওয়া তদন্ত কমিটির এ বৈঠক চলে দীর্ঘ ৬ ঘণ্টাব্যাপী।
মিজানুর রহমান জয়নিউজকে বলেন, দীর্ঘ বৈঠকে তদন্তদলের সদস্যরা ঘটনার ব্যাপারে বিস্তারিত আলাপ-আলোচনা করেছেন। এতে তদন্তদলের নির্দিষ্ট কর্ম-পরিকল্পনা তথা কর্মপরিধি নির্ধারণ করা হয়েছে। এ অনুযায়ী কমিটির সদস্যরা ঘটনার তদন্তের স্বার্থে ঘটনাস্থলসহ মাঠ পর্যায়ে যেখানে যাওয়ার দরকার সেখানে পরিদর্শন করবে। এছাড়া প্রত্যক্ষদর্শীসহ যাদের দরকার তাদের সঙ্গে কথা বলবে তদন্তদল।
তবে মন্ত্রণালয়ের বেঁধে দেওয়া সাত কর্ম-দিবসের মধ্যে কমিটি তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেওয়ার চেষ্টা করবে বলে জানান তদন্তদলের এ প্রধান।
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের গঠিত উচ্চ পর্যায়ের এ কমিটি বৈঠকের পর প্রয়োজনে তথ্য ও সাক্ষ্য গ্রহণের প্রক্রিয়া শুরু করেছে জানিয়েছেন চট্টগ্রামের অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার (উন্নয়ন) মো. মিজানুর রহমান।
বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সশস্ত্র বিভাগে কর্মরত সেনাবাহিনীর রামু ১০ পদাতিক ডিভিশনের জিওসি ও কক্সবাজার এরিয়া কমান্ডারের মনোনীত প্রতিনিধি লেফটেন্যান্ট কর্ণেল মো. সাজ্জাদ, পুলিশের চট্টগ্রাম রেঞ্জের ডিআইজি মনোনীত প্রতিনিধি অতিরিক্ত ডিআইজি ( অপরাধ ও অপারেশন ) মো. জাকির হোসেন এবং কক্সবাজারের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মো. শাজাহান আলি।
উল্লেখ্য, ৩১ জুলাই রাতে কক্সবাজার-টেকনাফ মেরিন ড্রাইভ সড়কের টেকনাফের বাহারছড়া ইউনিয়নের শামলাপুর চেকপোস্টে পুলিশের গুলিতে মারা যান সেনাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা মো. রাশেদ খান।