নগরের পানি নিষ্কাশনের প্রধান মাধ্যম চাক্তাই খাল। আবর্জনা ফেলে দূষণের ফলে খালের পানি হয়ে গেছে কালো। দখলের উৎসবে দিনে দিনে সংকুচিত হয়ে গেছে খালটি। চাক্তাই খাল দিয়ে এক সময় চলতো ব্যবসা-বাণিজ্য, সেখানে আজ ময়লা-আবর্জনার ভাগাড়। খাল ভরাট করে গড়ে উঠেছে ভবন ও বস্তি।
ফলে বর্ষার সময় চাক্তাই খাল দিয়ে পানি নিষ্কাশন হতে না পারায় নগরে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হচ্ছে প্রতিবছর। আবার কর্ণফুলী নদীর জোয়ারের পানি খালে সংকুলান হয়ে উপচে পড়ে বাজারে। এসময় হাঁটু থেকে কোমড় পানিতে ডুবে যায় চাক্তাই বাজারের দোকানগুলো।
বুধবার(৫ আগস্ট)দুপুরে জোয়ারের সময় চাক্তাই বাজার হাঁটু পানিতে ডুবে যায়।
ব্যবসায়ীরা জানান, চাক্তাই খাল ভরাটের কারণে যে খাল একসময় বাণিজ্যের লাইফলাইন ছিল, তা আজ পরিণত হয়েছে ব্যবসায়ীদের মরণফাঁদে। গত ৪ থেকে ৫ বছর ধরে জোয়ারের পানি উঠলে আর নামছে না। আবর্জনায় খালের তলদেশ প্রায় ১০ ফুটের মত ভরাট হয়ে গেছে। এতে জোয়ারের পানি খাল উপচে বাজারে প্রবেশ করে। ফলে প্রতিদিন ৪ থেকে ৫ ঘণ্টা পুরো বাজার থাকে পানিবন্দি।
আগে দোকানের সামনে উঁচু দেওয়াল দিয়ে দোকানে পানি ঢোকা ঠেকানো গেলেও, এখন তা আর সম্ভব হচ্ছে না। প্রতিবছর বর্ষা মৌসুমে জোয়ারের পানির কারণে ব্যবসায়ীদের ক্ষতি হচ্ছে শত শত কোটি টাকা। আর সমস্যা সমাধানে দীর্ঘদিন ধরে কার্যকরী কোনো পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি বলে বর্ষা মৌসুমে বাজারে পানি প্রবেশ বন্ধ করা যাচ্ছে না।
প্রসঙ্গত, চট্টগ্রাম শহরের জলাবদ্ধতা নিসরনকল্পে খাল পুনঃখনন, সম্প্রসারণ, সংস্কার ও উন্নয়ন’শীর্ষক মেগা প্রকল্পের আওতায় প্রথম পর্যায়ে ১৩টি খালের অবৈধ স্থাপনা ও অপসারণযোগ্য স্থাপনা চিহ্নিত করা হয়।
এরমধ্যে চাক্তাই খালের ৮ দশমিক ১৩ একর জমি দখল করে বিভিন্ন সময় স্থাপনা গড়ে তোলা হয়। এগুলোর মধ্যে ৩০০টি স্থাপনা উচ্ছেদ ও অপসারণ করা হবে।
জয়নিউজ/পিডি