বৈরুতে অরক্ষিত অবস্থায় মজুদ করা অ্যামোনিয়াম নাইট্রেট বিস্ফোরণের পর চরম আতঙ্কে রয়েছে ভারতের তামিলনাড়ু রাজ্যের চেন্নাই।
গণমাধ্যমের প্রতিবেদনে জানা গেছে, দেশটির কাস্টমস বিভাগের হেফাজতে রয়েছে ৭৪০ টনের মতো এ বিস্ফোরক রাসায়নিক।
কর্মকর্তারা জানান, রাসায়নিক দ্রব্যের চালান দিতে ই-নিলাম ‘অগ্রসরমান। আতশবাজি ও সার তৈরিতে ব্যবহৃত রাসায়নিকের বিশাল চালানটি শিবাকাসি নামের একটি গ্রুপের ছিল। ২০১৫ সালে চেন্নাই বন্দর থেকে তা জব্দ করা হয়েছিল এবং তখন থেকে সেখানেই তা পড়ে আছে। কিন্তু চেন্নাই বন্দর কর্মকর্তারা বলছেন, বিস্ফোরক দ্রব্যগুলো আর বন্দরে মজুদ রাখা হয় না।
চেন্নাই বন্দরের জনসংযোগ দফতরের এক কর্মকর্তা বলেন, ৩৬ কন্টেইনারের প্রতিটিতে ২০ টনের মতো অ্যামোনিয়াম নাইট্রেট আছে। অনেক আগেই সেগুলো কাস্টমস ডিপার্টমেন্ট তাদের হেফাজতে নিয়েছে।
কাস্টমস ডিপার্টমেন্টের এক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা বলেন, ‘সাত্তভা কন্টেইনার ডিপোতে অ্যামোনিয়াম নাইট্রেটগুলো রাখা হয়েছে। এগুলো অবৈধভাবে আমদানি করেছিল শ্রী আম্মান কেমিক্যালস। আমরা এগুলো ডিসপোজ করতে কাজ করছি এবং বিস্তারিত শিগগিরই জানাবো।’আটক হওয়া রাসায়নিকের বিশাল চালানটি ছাড় দেওয়ায় দেরি হওয়ার দাবি প্রত্যাখ্যান করেছেন তিনি। বিষয়টি আদালতে গিয়েছিল এবং গত বছরের নভেম্বরে তারা রুল জারি করেছিলেন।
বৈরুত ট্র্যাজেডির কথা উল্লেখ করে পিএমকে প্রধান ড. রামাদোস এই মজুদ করা রাসায়নিকের নিরাপদ ডিসপোজালের দাবি করেছেন, ‘একই ধরনের বিস্ফোরণের ঝুঁকি রয়েছে। তা এড়াতে হলে নিরাপদে এগুলো ডিসপোজ করতে হবে এবং সার উৎপাদন ও অন্য প্রয়োজনে ব্যবহার করতে হবে।