পুলিশের গুলিতে সেনাবাহিনীর সাবেক মেজর সিনহা মো. রাশেদ খান হত্যার ঘটনায় টেকনাফ থানা থেকে প্রত্যাহার ওসি প্রদীপ কুমার দাশসহ ৭ আসামিকে চাকরি থেকে বরখাস্ত করা হয়েছে।
শুক্রবার (৭ আগস্ট) রাত ৯টার দিকে কক্সবাজারের পুলিশ সুপার এবিএম মাসুদ হোসেন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, উক্ত মামলার আসামি ওসি প্রদীপ কুমার দাশ ও পরিদর্শক লিয়াকত আলীকে পুলিশ সদর দফতর থেকে বরখাস্ত করা হয়েছে।
অন্যান্য আসামি এসআই নন্দলাল রক্ষিত, কনস্টেবল সাফানুর করিম, কনস্টেবল কামাল হোসেন, কনস্টেবল আবদুল্লাহ আল মামুন ও এএসআই লিটন মিয়াকে পুলিশ সুপার বরখাস্ত করেছেন।
পুলিশ সুপার এবিএম মাসুদ হোসেন জানান, টেকনাফ থানার মামলা নম্বর ৯/২০২০, যাহার সিআর মামলা নম্বর ৯৪/২০২০ ইংরেজি (টেকনাফ), মামলায় টেকনাফের সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত কর্তৃক কক্সবাজার জেলা পুলিশের ৭ সদস্যের জামিন আবেদন নাকচ করে তাদের জেলে পাঠানোর বিষয়টি গত ৬ আগস্ট সন্ধ্যায় জেলা পুলিশ অবহিত হয়।
‘এরপর প্রদীপ কুমার দাশ ও লিয়াকত আলী ইন্সপেক্টর হওয়ায় তাদের পুলিশ সদর দফতর থেকে এবং বাকি ৫ জন যথাক্রমে এসআই নন্দলাল রক্ষিত, কনস্টেবল সাফানুর করিম, কনস্টেবল কামাল হোসেন, কনস্টেবল আবদুল্লাহ আল মামুন ও এএসআই লিটন মিয়াকে তাৎক্ষণিক চাকরি থেকে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করা হয়েছে।’
প্রসঙ্গত, গত ৩১ আগস্ট রাত সাড়ে ৯টার দিকে কক্সবাজার-টেকনাফ মেরিন ড্রাইভ সড়কের টেকনাফের বাহারছড়া শামলাপুর তল্লাশি চৌকিতে পুলিশের গুলিতে নিহত হন সিনহা রাশেদ খান।
এ ঘটনায় বুধবার কক্সবাজারে টেকনাফ সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট তামান্না ফারাহর আদালতে ওসি প্রদীপ ও মো. লিয়াকতসহ নয়জনকে অভিযুক্ত করে হত্যা মামলা দায়ের করেন নিহত সাবেক মেজর সিনহার বড় বোন শারমিন শাহরিয়া ফেরদৌস। আদালত মামলাটি আমলে নিয়ে টেকনাফ থানার ওসিকে মামলাটি এফআইআর হিসাবে রুজু এবং র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নকে (র্যাব-১৫) তদন্তের নির্দেশ দেন।