চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের (চসিক) মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন বিদায় নিয়েছেন ৬ আগস্ট। বিদায় নেওয়ার দুইদিনের মাথায় আবার মাথাছাড়া দিয়ে উঠছে বিলবোর্ড। এ নিয়ে নানা প্রশ্ন দেখা দিয়েছে জনমনে।
চসিক বলছে, বিলবোর্ড বসানোর বিষয়টি তাদের জানা ছিল না। যে বা যারাই বিলবোর্ড বসাক না কেন তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
সরেজমিন পরিদর্শনে দেখা গেছে, নগরের ব্যস্ততম জিইসি এলাকায় ইউনেস্কো ভবনের পাশের বিল্ডিংয়ে বসানো হয়েছে সুবিশাল বিলবোর্ড। বিলেবোর্ডে ফোন নম্বর দেওয়া হয়েছে ভাড়া দেওয়া হবে বলে। স্থানীয়রা বলছেন, শুক্রবার (৭ আগস্ট) রাতে বসানো হয় এ বিলবোর্ড।
ই-কমার্স প্রতিষ্ঠানের জন্য ভাড়া নেওয়া হবে বলে গ্রাহক হিসেবে ফোন করা হয় বিলবোর্ডে দেওয়া নম্বরে। ফোন রিসিভ করা ওই ব্যক্তি বলেন, রায়হান অ্যাড নামক একটি প্রতিষ্ঠান এ বিলবোর্ড স্থাপন করেছে। তাদের অফিস নগরের টাইগারপাস এলাকায়। বিলবোর্ড ভাড়া নিলে কোনো সমস্যা হবে না বলেও জানান তিনি।
বিলবোর্ডের অনুমতি আছে কি-না এমন প্রশ্ন করা হলে ফোন রিসিভ করা ব্যক্তি বলেন, আমি আপনাকে পরে ফোন করছি। বিস্তারিত জেনে আপনাকে বলবো।
এ ব্যাপারে যোগাযোগ করা হলে চসিকের প্রধান রাজস্ব কর্মকর্তা মফিদুল ইসলাম জয়নিউজকে বলেন, বিলবোর্ড বসানোর জন্য আমরা কোনো অনুমতি দেয়নি। বিলবোর্ড বসানোর বিষয়টি আমাদের জানা ছিল না। এখন আপনার কাছ থেকে শুনেছি। খুব দ্রুত এর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এ বিষয়ে কথা বলার জন্য চসিকের নবনিযুক্ত প্রশাসক খোরশেদ আলম সুজনকে ফোন করা হলে তাঁর ফোন বন্ধ পাওয়া যায়।
২০১৫ সালে দায়িত্ব গ্রহণের পর চট্টগ্রাম নগরীকে বিলবোর্ডমুক্ত করার ঘোষণা দেন মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন। নগরকে বিলবোর্ডের জঞ্জালমুক্ত করার দাবিতে সোচ্চার ছিলেন নাগরিক সমাজের প্রতিনিধিরাও। সেই হিসেবে বিলবোর্ড অপসারণে নগরে ‘ক্র্যাশ প্রোগ্রাম’শুরু করে চসিক। তখন নগরে বিলবোর্ড, ইউনিপোল ও মিনিপোল মিলে ছয় হাজারের মতো উচ্ছেদ করা হয়।
টানা অভিযানে নগর তখন বিলবোর্ডমুক্ত হয়। ফলে নগরের বিভিন্ন পাহাড় এবং দৃষ্টিনন্দন স্থান দীর্ঘদিন পর নগরবাসীর দৃষ্টিসীমায় আসতে শুরু করে। বিলবোর্ড উচ্ছেদে শতভাগ সফল হিসেবে সারাদেশে প্রশংসিত হন সাবেক মেয়র নাছির।
এদিকে নাছিরের বিদায়ের পর নতুনভাবে বিলবোর্ড বসানোকে অশনিসংকেত বলে দেখছেন সংশ্লিষ্টরা। ফের চট্টগ্রাম নগরের সৌন্দর্য কি বিলবোর্ডে ঢাকা পড়বে- এ প্রশ্নই এখন জনমনে।