‘মেয়র নাছিরের বিদায়ের দুইদিনের মাথায় ফের বিলবোর্ড!’ শিরোনামে শনিবার (৮ আগস্ট) দুপুরে সরেজমিন প্রতিবেদন প্রকাশ করে জয়নিউজ।
এরপরেই বিষয়টি নজরে আসে ঢাকায় অবস্থানরত চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের (চসিক) নতুন প্রশাসক খোরশেদ আলম সুজনের। তিনি তৎক্ষণাৎ চসিক কর্মকর্তাদের নির্দেশ দেন অবৈধ বিলবোর্ডটি সরিয়ে নিতে। সে নির্দেশ মতো শনিবার রাতেই অবৈধ বিলবোর্ডটি সরিয়ে নেওয়া হয়েছে।
বিষয়টি নিশ্চিত করে চসিক প্রশাসক নিজের ফেসবুক পোস্টে জানান, ‘আজ (শনিবার) দুপুরে ঢাকা অবস্থানকালীন সময়ে বিলবোর্ড নিয়ে অনলাইন নিউজ জয়নিউজের একটি সংবাদ আমার গোচরীভূত হয়েছে। সংবাদ প্রাপ্তির সাথে সাথেই চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তাকে নির্দেশনা প্রদান করা হয়েছে যেন অবিলম্বে বিলবোর্ডটি অপসারণ করা হয়। আরো তথ্য পেয়েছি যে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের একজন পানির ভাউচার চালকও এ কর্মকাণ্ডের সাথে যুক্ত আছেন। আমরা তার বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা গ্রহণ করবো। আমার নির্দেশনা পাওয়ার দ্রুততম সময়ের মধ্যে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন বিলবোর্ডটি অপসারণ করেছে। আমি স্পষ্টভাবেই বলতে চাই কোন অবস্থায় কাউকে কোন অজুহাতে বিশৃঙ্খলা কিংবা বিলবোর্ড বা অন্য কোন বিষয়ে অবৈধ কিছু করতে দেওয়া হবে না।’
প্রসঙ্গত, ২০১৫ সালে দায়িত্ব গ্রহণের পর চট্টগ্রাম নগরীকে বিলবোর্ডমুক্ত করার ঘোষণা দেন মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন। নগরকে বিলবোর্ডের জঞ্জালমুক্ত করার দাবিতে সোচ্চার ছিলেন নাগরিক সমাজের প্রতিনিধিরাও। সেই হিসেবে বিলবোর্ড অপসারণে নগরে ‘ক্র্যাশ প্রোগ্রাম’শুরু করে চসিক। তখন নগরে বিলবোর্ড, ইউনিপোল ও মিনিপোল মিলে ছয় হাজারের মতো উচ্ছেদ করা হয়।
টানা অভিযানে নগর তখন বিলবোর্ডমুক্ত হয়। ফলে নগরের বিভিন্ন পাহাড় এবং দৃষ্টিনন্দন স্থান দীর্ঘদিন পর নগরবাসীর দৃষ্টিসীমায় আসতে শুরু করে। বিলবোর্ড উচ্ছেদে শতভাগ সফল হিসেবে সারাদেশে প্রশংসিত হন সাবেক মেয়র নাছির।