টেকনাফে পুলিশের গুলিতে মেজর (অব.) সিনহা মোহাম্মদ রাশেদ খান নিহতের পর গ্রেপ্তার হন তার সহযোগী সাহেদুল ইসলাম সিফাত। এরপর এ ঘটনায় পুলিশের করা তিনটি মামলাতেই আসামি করা হয় সিফাতকে।
সোমবার (১০ আগস্ট) সব মামলাতেই সিফাতের জামিন মঞ্জুর করেছেন আদালত। এছাড়া তিনটি মামলারই তদন্তভার র্যাবের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
সিনিয়র আইনজীবী অ্যাডভোকেট মো. মোস্তফা জানান, সিফাতের নামে রামু থানায় একটি মাদক এবং টেকনাফ থানায় মাদক ও হত্যা মামলা দায়ের করে পুলিশ। সোমবার সকাল ১১টায় রামুর জ্যেষ্ঠ বিচারিক হদেলোয়ার হোসেনের আদালতে মাদক মামলায় সিফাতের জামিন হয়। এছাড়া সকাল সোয়া ১১টার দিকে টেকনাফ উপজেলা জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট তামান্না ফারহার আদালত-৩ এ বাকি দুটি মামলায় জামিন পান সিফাত। এ সময় বিচারক তিনটি মামলারই তদন্ত কর্মকর্তা পরিবর্তন করে র্যাবকে এর তদন্তভার দেন।
এর আগে রোববার মাদক মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো মেজর সিনহার আরেক সহযোগী শিপ্রা দেবনাথও জামিন পান।
উল্লেখ্য, গত ৩১ জুলাই রাতে কক্সবাজার-টেকনাফ মেরিন ড্রাইভের শামলাপুর চেকপোস্টে পুলিশের গুলিতে নিহত হন বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর মেজর (অব.) সিনহা মোহাম্মদ রাশেদ খান। এ সময় গ্রেপ্তার করা হয় মেজর সিনহার সঙ্গে থাকা শিপ্রা দেবনাথ ও সাহেদুল ইসলাম সিফাতকে।
জয়নিউজ/পিডি