ইন্দোনেশিয়ায় ৭ দশমিক ৫ মাত্রার ভূমিকম্পের পর দেশটির উপকূলীয় একটি শহরে সুনামির আঘাতে নিহতের সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ৩৮৪ জন। এছাড়া আহতের সংখ্যা পাঁচ শতাধিক বলে নিশ্চিত করেছে দেশটির কর্তৃপক্ষ। আহতদের অস্থায়ী হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।
শুক্রবার (২৮ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যার দিকে ভূমিকম্পের পর ১০ ফুট উঁচু ঢেউ সুলাওয়াসি দ্বীপের পালু শহরকে ভাসিয়ে নেয় বলে জানিয়েছে বিবিসি।
বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানায়, পাহাড়সম উঁচু ঢেউ যখন উপকূলে আঘাত হানে তখন ‘বিচ ফেস্টিভ্যাল’ উপলক্ষ্যে অনেকেই সৈকতে জড় হয়েছিলেন। যাদের বেশিরভাগই নিজেদের প্রাণ রক্ষা করতে ব্যর্থ হয়েছেন। কেউ কেউ উঁচু গাছে চড়ে নিজেদের রক্ষা করেছেন।
শনিবার (২৯ সেপ্টেম্বর) সমুদ্রতট থেকে অনেকগুলো মৃতদেহ উদ্ধার করা হয় বলে জানান স্থানীয় কর্তৃপক্ষ। এদিন সকালেও পরাঘাতে সুলাওয়াসি দ্বীপ একাধিকবার কেঁপে উঠেছে।
দেশটির দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা সংস্থা বিএনপিবি’র মুখপাত্র সুতোপো পুরও নুগরোহো বলেন, “গতকাল ভূমিকম্পের পর যখন সুনামি সতর্কতা জারি করা হয় তখনও লোকজন সৈকতে তাদের কাজকর্ম চালিয়ে যাচ্ছিলেন। তাই প্রকাণ্ড ঢেউ যখন উপকূলে আছড়ে পড়ে তখন তারা আর দৌড়ে নিজেদের রক্ষা করতে পারেননি।”
ভূমিকম্প ও সুনামিতে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ ‘অত্যন্ত মারাত্মক’ বর্ণনা করে নুগরোহো বলেন, পালুর বেশিরভাগ বাড়িঘর, হাসপাতাল, শপিংমল ও হোটেল ধসে গেছে। সুনামিতে একটি সেতু ভেঙ্গে ভেসে গেছে এবং ভূমিধসে পালুর প্রধান মহাসড়ক দিয়ে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে।
ইন্দোনেশিয়ার আবহাওয়া ও ভূতত্ত্ব সংস্থা বিএমকেজি ভূমিকম্পের পর সুনামি সতর্কতা জারি করলেও ৩৪ মিনিট পর তা তুলে নেয় বলে জানায় রয়টার্স।
যে কারণে দেশ জুড়ে সংস্থাটির কড়া সমালোচনা শুরু হয়েছে। তবে কর্মকর্তারা বলছেন, তারা যে সময়ে সুনামি সতর্কতা জারি করেছিলেন ওই সময়ের মধ্যেই তা উপকূলে আঘাত হেনেছে।
ভূমিকম্প ও সুনামির কারণে পালু শহরের বিদ্যুৎ ব্যবস্থা পুরোপুরি ভেঙে পড়েছে, ব্যাহত হচ্ছে উদ্ধার অভিযান।
জয়নিউজ/শহীদ