চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের (চসিক) প্রশাসক খোরশেদ আলম সুজন বলেছেন, ১৫ আগস্ট জাতির পিতাকে হত্যা করলেও তার আদর্শ ও নীতিকে মুছে ফেলতে পারেনি ঘাতকরা।
শনিবার (১৫ আগস্ট) নগরভবনে চসিকের উদ্যোগে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৫তম শাহাদাতবার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, জাতির পিতার আদর্শকে লালন ও বুকে ধারণ করে তার সুযোগ্য তনয়া মাননীয় প্রাধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা বিনির্মাণে কাজ করছেন।
সুজন বলেন, বঙ্গবন্ধুর ঘাতকদের উদ্দেশ্য ছিল অসাম্প্রদায়িক গণতান্ত্রিক বাংলাদেশের রাষ্ট্রীয় কাঠামোকে ভেঙে আমাদের কষ্টার্জিত স্বাধীনতাকে ভুলুন্ঠিত করা। কিন্তু প্রধানমন্ত্রীর সঠিক নেতৃত্বের কারণে তা করতে পারেনি ঘাতকরা।
চসিক প্রশাসক আরো বলেন, বঙ্গবন্ধু সারাজীবন রাজনৈতিক স্বাধীনতার পাশাপাশি অর্থনৈতিক মুক্তির জন্য সংগ্রাম করে গেছেন। ক্ষুধা ও দারিদ্র্যমুক্ত বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠাই ছিল তার স্বপ্ন । তাই জ্ঞান-বিজ্ঞানে সমৃদ্ধ হয়ে আমাদের বঙ্গবন্ধুর আজীবন লালিত স্বপ্ন বাস্তবায়ন করতে হবে। তাহলে আমরা চিরঞ্জীব বঙ্গবন্ধুর প্রতি যথাযর্থ সম্মান প্রদর্শন করতে পারবো।
এর আগে শনিবার সকালে চসিক প্রশাস টাইগারপাস চসিক নগরভবনের সম্মুখে জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন।
পরে ওই অনুষ্ঠানে বঙ্গবন্ধুসহ ১৫ আগস্ট নিহত বঙ্গবন্ধুর পরিবারের শহীদ সদস্যদের আত্মার মাগফেরাত কামনায় খতমে কোরআন, মিলাদ ও বিশেষ দোয়া-মোনাজাত অনুষ্ঠিত হয়। এরপর প্রশাসক মুজিববর্ষ উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রী ঘোষিত সারাদেশে ১ কোটি চারাগাছ রোপণ কর্মসূচির অংশ হিসেবে টাইগারপাসে বিন্নাঘাস প্রকল্প এলাকায় কয়েকটি ফলদ ও ওষুধি গাছের চারা লাগিয়ে বৃক্ষরোপণ কর্মসূচির উদ্বোধন করেন।
এসময় আরো উপস্থিত ছিলেন চসিকের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. সামসুদ্দোহা, সচিব আবু শাহেদ চৌধুরী, প্রধান শিক্ষা কর্মকর্তা সুমন বড়ুয়া, প্রধান প্রকৌশলী লে. কর্ণেল সোহেল আহমেদ, প্রধান রাজস্ব কর্মকর্তা মো. মুফিদুল আলম, প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. সেলিম আকতার চৌধুরী, স্পেশাল ম্যাজিস্ট্রেট (যুগ্ম জেলা জজ) জাহানারা ফেরদৌস, নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মারুফা আকতার নেলী, প্রশাসকের একান্ত সচিব আবুল হাশেম, রাজস্ব কর্মকর্তা শাহেদা পারভীন, প্রধান হিসাবরক্ষণ কর্মকর্তা মো. সাইফুদ্দিন, প্রধান নগর পরিকল্পনাবিদ স্থপতি একেএম রেজাউল করিম, অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী রফিকুল ইসলাম মানিক ও প্রধান পরিচ্ছন্ন কর্মকর্তা শফিকুল মান্নান সিদ্দীকি।