নগরের মতিঝর্ণা এলাকায় ছাত্রলীগ কর্মী মো. দিদারকে হত্যা করেছে ডিশ ব্যবসায়ী আবুল হাসনাত মোহাম্মদ বেলাল। এ অভিযোগ করেছেন লালখান বাজার ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক দিদারুল আলম মাসুম। নিহত দিদার লালখান বাজার ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক দিদারুল আলম মাসুমের অনুসারী।
শনিবার (২৯ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যা ৬টার দিকে খুলশীর মতিঝর্ণা এলাকায় দুই গ্রুপের সংঘর্ষ চলাকালে আওয়ামী লীগ কর্মী মো. দিদারকে ছুরিকাঘাতে হত্যা করা হয়। এ ঘটনায় আরও দুই ব্যক্তি গুরুতর আহত হয়েছেন। আহতদের চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
এ হত্যাকাণ্ডের জন্য ডিশ ব্যবসায়ী আবুল হাসনাত মোহাম্মদ বেলাল ও সাবেক কাউন্সিলর প্রার্থী তওহিদ আজিজকে দায়ী করছে মাসুমের অনুসারীরা। বেলাল নগর রাজনীতিতে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক ব্যারিস্টার মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেলের অনুসারী বলে অভিযোগ করেছেন আওয়ামী লীগ নেতা মাসুম।
খুলশী থানার এসআই নুরুদ্দিন জানান, স্থানীয় আওয়ামী লীগের দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষ হয় মতিঝর্ণা এলাকায়। এ ঘটনায় মো. দিদার নামে এক যুবক নিহত হয়। তাকে ছুরিকাঘাত করা হয়েছে। এ ঘটনায় আরও দুই ব্যক্তি আহত হয়। তাদের চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
চমেক হাসপাতাল পুলিশ ফাঁড়ির এসআই আলাউদ্দিন তালুকদার জানান, মতিঝর্ণা এলাকায় সংঘর্ষে আহত তিন জনকে চমেক হাসপাতালের জরুরি বিভাগে আনা হয়েছে। এ সময় মো. দিদার নামে এক যুবককে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। বাকি দুই জনকে চমেক হাসপাতালের ক্যাজুয়াল্টি ওয়ার্ডে ভর্তি করা হয়েছে।
এ বিষয়ে দিদারুল আলম মাসুম বলেন, দিদার স্থানীয়ভাবে ছাত্রলীগের রাজনীতিতে সক্রিয় ছিলেন। তিনি ভাল একজন সংগঠক। তিনি আমাদের সাথে অনেক আগে থেকেই প্রগতিশীল রাজনীতিতে যুক্ত ছিলেন।
তিনি আরও বলেন, বিগত সিটি করপোরেশন নির্বাচনে সিটি মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীনকে জয়যুক্ত করতে তিনি সক্রিয় ভূমিকা রাখেন। তখন থেকেই কাউন্সিলর প্রার্থী আজিজ ও ডিশ ব্যবসায়ী বেলালের রোষানলে পড়েন তিনি। এরপর থেকে দিদারকে হত্যার হুমকি দিয়ে আসছিল তারা। শনিবার সন্ধ্যায় বেলাল নিজ হাতে ছুরিকাঘাত করে হত্যা করে দিদারকে।
এ বিষয়ে বেলাল ও তওহিদ আজিজের মোবাইলে কল করা হলেও তারা রিসিভ করেননি।
চট্টগ্রাম নগর পুলিশের সহকারী কমিশনার (বায়েজিদ জোন) সোহেল রানা বিশ্বাস জয়নিউজকে বলেন, নিহত দিদার যাদের রাজনীতি করতেন তাদের অভিযোগ প্রতিপক্ষই তাকে হত্যা করেছে। তবে আমরা বিষয়টি তদন্ত করছি। সংঘর্ষে জড়িতদের গ্রেফতারে পুলিশ অভিযানে নেমেছে।