চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক সিটি মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন বলেছেন, ৭১’র পরাজিত শক্তিরা ৭৫’র ১৫ আগস্ট এবং ২০০৪ সালে ২১ আগস্ট যা করতে চেয়েছিল, তাতে তারা ব্যর্থ হয়েছে। তাদের টার্গেট প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
সোমবার (১৭ আগস্ট) সারাদেশে বিএনপি জোট সরকারের আমলে সিরিজ বোমা হামলার প্রতিবাদবার্ষিকীতে চট্টগ্রাম নগর আওয়ামী লীগের আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
আ জ ম নাছির বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আমলে জঙ্গিবাদ কোণঠাসা হলেও শিকড় নির্মূল হয়নি। তবে শেখ হাসিনাই তা নির্মূল করবেন। এ শিকড় নির্মূল করাটাই আমাদের সবচেয়ে বড় রাজনৈতিক চ্যালেঞ্জ।
তিনি বলেন, চট্টগ্রামের ধর্মপ্রাণ মানুষকে ধর্মের মূল বাণীচ্যুত করে জঙ্গিরা এই চট্টগ্রামে সংগঠিত হয়েছিল। এর বিরুদ্ধে রাজপথে প্রতিবাদ-প্রতিরোধের ব্যারিকেড তৈরি করেছিল চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগ।
‘চট্টগ্রাম নগর আওয়ামী লীগের রাজপথের সৈনিকরা ইউনিট, ওয়ার্ড ও থানা পর্যায়ে নেতৃত্বের জায়গায় এসে গেলে দল আরও গতিশীল হবে। এই গতিশীলতা রক্ষায় আর্থ সামাজিক, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক দায়বদ্ধতা থেকে নগর আওয়ামী লীগের ত্যাগী ও পরীক্ষিতদের আমলে আনতে হবে।’
সাবেক মেয়র নাছির বলেন, দলের ভেতরে পছন্দ-অপছন্দ এগুলো ব্যক্তিক দ্বন্দ্ব। তাই দেখা যাচ্ছে আমরা নিজেদের সমালোচনা করছি বেশি। কিন্তু রাজনৈতিক প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে ততটা নয়। আমি স্বীকার করি ছোটখাটো ভূলভ্রান্তির তাৎক্ষণিক সমাধান হচ্ছে না বলে বিভক্তি-বিভাজন তৈরি হচ্ছে। এর পরিণতি শুভ নয়।
সভায় আরও বক্তব্য দেন নগর আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতির মাহতাব উদ্দিন চৌধুরী, সহসভাপতি ও সিটি করপোরেশনের প্রশাসক খোরশেদ আলম সুজন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও আসন্ন সিটি করপোরেশন নির্বাচনে নৌকা প্রতীকের প্রার্থী এম রেজাউল করিম চৌধুরী।
নগর আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক শফিক আদনানের সঞ্চালনায় এতে আরও বক্তব্য দেন চট্টগ্রাম নগর আওয়ামী লীগের সহসভাপতি আলতাফ হোসেন চৌধুরী বাচ্চু, সাংগঠনিক সম্পাদক চৌধুরী হাসান মাহমুদ হাসনী, দফতর সম্পাদক হাসান মাহমুদ চৌধুরী, বন ও পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক মশিউর রহমান চৌধুরী।
সভায় উপস্থিত ছিলেন নগর আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা শফর আলী, সাংগঠনিক সম্পাদক নোমান আল মাহমুদ, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক শফিকুল ইসলাম ফারুক, ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ সম্পাদক মো. হোসেন, শ্রম সম্পাদক আবদুল আহাদ, নির্বাহী সদস্য এম এ জাফর, আবুল মনসুর, পেয়ার মোহাম্মদ, বখতিয়ার উদ্দিন খান, সাইফুদ্দিন খালেদ বাহার, মহব্বত আলী খান, বেলাল আহমদ প্রমুখ।