খাগড়াছড়ির রামগড়ে পুত্রবধূকে শ্লীলতাহানির অভিযোগে আবদুর রাজ্জাক (৫০) নামে শ্বশুরকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
সোমবার (১৭ আগস্ট) ভুক্তভোগী পুত্রবধূ বাদী হয়ে শ্বশুরের বিরুদ্ধে মামলা করেন। মঙ্গলবার (১৮ আগস্ট) শ্বশুরকে গ্রেপ্তার করে রামগড় থানা পুলিশ। পরে তাকে জেল হাজতে পাঠানো হয়। গ্রেপ্তার আবদুর রাজ্জাক রামগড় ১নং ইউনিয়নের হাতীরখেদা এলাকার মৃত চাঁন মিয়ার ছেলে।
মামলার এজাহারে পুত্রবধূ অভিযোগ করেন, গত মার্চ মাসে তার শ্বশুর মো. আব্দুর রাজ্জাকের বড় ছেলে কাভার্ডভ্যানের হেলপার মো. ইউসুফের সঙ্গে পারিবারিকভাবে তার বিয়ে হয়। বিয়ের কয়েক মাস পর তার স্বামী কাজে চলে গেলে শ্বশুর বিভিন্ন সময় অসৎউদ্দেশ্য হাসিলের জন্য তাকে মোবাইল ফোনে লোভ-লালসা দেখিয়ে কুপ্রস্তাব দেয়। ঘটনার দিন ৫ আগস্ট রাত ১০টায় তার শ্বশুর জোরপূর্বক হাত এবং কাপড় ধরে টানাহেচড়া করে শ্লীলতাহানির চেষ্টা করে। পরে ঘটনাটি পরিবারের সবাইকে জানানো হলে স্থানীয়ভাবে মীমাংসা করার চেষ্টা করা হয়। যার ফলে থানায় অভিযোগ করতে বিলম্ব হয়।
রামগড় ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শাহআলম মজুমদার ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জয়নিউজকে বলেন, ঘটনাটি তিনি শুনেছেন। উভয়পক্ষ পারিবারিকভাবে সমাজের গণ্যমান্য ব্যক্তিদের নিয়ে সালিশে বসলেও কোনো মীমাংসায় আসতে পারেননি। পরে থানার আশ্রয় নেন।
রামগড় থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শামসুজ্জামান জয়নিউজকে বলেন, সর্বপ্রথম উভয়পক্ষ একে অপরের বিরুদ্ধে অভিযোগ করতে থানায় আসে। পরবর্তীতে আসামি আব্দুর রাজ্জাক তার পুত্রবধূকে কুপ্রস্তাব দেওয়ার কল রেকর্ডটি সম্মুখে আসলে বাদীর ‘নারী ও শিশু নির্যাতন আইন’ এর ১০ ধারায় মামলা দায়ের এর অভিযোগ গ্রহণ করা হয়। এসময় তাৎক্ষনিক শ্বশুরকে গ্রেপ্তার করে আদালতে পাঠানো হয়।