সত্যিকারের নাগরিক উপযোগী নগর প্রতিষ্ঠা করাই একমাত্র লক্ষ্য বলে জানিয়েছেন চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের (চসিক) প্রশাসক মো. খোরশেদ আলম সুজন।
তিনি বলেন, দেশের ও বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তের লোকজন ঘুরতে আসে এ শহরে। পর্যটনসহ ধর্মীয় আধ্যাত্মিকতায় সমৃদ্ধ এ নগর সেই মানে গড়ে না উঠলে আশাহত হবে সব মানুষ।
মঙ্গলবার (১৮ আগস্ট) দৈনিক পূর্বকোণ সম্পাদক ডা. ম. রমিজউদ্দিন চৌধুরীর সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাতে তিনি এসব কথা বলেন।
বৈঠকে চসিক প্রশাসক চট্টগ্রামের উন্নয়ন ও সম্ভাবনাময় বিশ্বমানের নগরী গড়ে তোলা, ব্যবসা, শিল্প, পর্যটন ও বিনিয়োগবান্ধব বাণিজ্যিক নগরীতে উন্নয়নসহ নানা বিষয়ে একান্তে কথা বলেন।
চসিক প্রশাসক বলেন, দৈনিক পূর্বকোণ পত্রিকার প্রতিষ্ঠাতা মরহুম ইউসুফ চৌধুরী শুধু একজন পত্রিকার মালিক ছিলেন না। তিনি ছিলেন চট্টগ্রাম উন্নয়নের একজন আলোকবর্তিকা। তিনি রাজনীতিক না হয়েও মানুষের অধিকার আদায়ে অনন্য ভূমিকা পালন করেছেন। তিনি চট্টগ্রামের সমস্যা সবসময় জনমানুষের সামনে তুলে ধরেছেন। চট্টগ্রামে ভেটেরেনারী বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠায় তাঁর অবদান অবিস্মরণীয়।
তিনি আরো বলেন, বর্তমানে তাঁর উত্তরসূরীরা পূর্বকোণ পত্রিকা পরিচালনার দায়িত্বে রয়েছেন। আমি আশা করি তাঁরাও তাঁদের পিতার মতো গণমানুষের অধিকার আদায়ে অবদান রাখবেন।
তিনি বলেন, আমাকে প্রধানমন্ত্রী আস্থায় নিয়ে একটি নির্দিষ্ট সময়ের জন্য প্রশাসকের দায়িত্ব দিয়েছেন। আমার এ দায়িত্ব পালনে গণমাধ্যমসহ নগরবাসীর সহযোগিতা প্রত্যাশা করছি।
এসময় পূর্বকোণ সম্পাদক ডা. ম. রমিজউদ্দিন চৌধুরী তাঁর কর্ম পরিকল্পনা ও বাস্তবায়নে সর্বাত্মক সহযোগিতার আশ্বাস দিয়ে বলেন, কাজের মধ্যদিয়ে মানুষ বেঁচে থাকে। এ বেঁচে থাকাটায় প্রকৃত সার্থকতা। একজন সেবক প্রকৃত অর্থে সেবক হয়ে উঠে নাগরিকবান্ধব কাজের মাধ্যমে।
তিনি আশাপ্রকাশ করে বলেন, প্রশাসক খোরশেদ আলম সুজন তাঁর কাজের মধ্যদিয়ে নিজেকে স্মরণীয় রাখতে পারবেন।
এসময় দৈনিক পূর্বকোণ পত্রিকার পরিচালনা সম্পাদক জসিম উদ্দিন চৌধুরী উপস্থিত ছিলেন।