চট্টগ্রামে গত ২৪ ঘণ্টায় ৯৪১ জনের নমুনা পরীক্ষায় ১৪৫ জনের দেহে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ পাওয়া গেছে। যা গত ৯ দিনের মধ্যে এক দিনে সর্বোচ্চ। এর মধ্যে ১২১ জন নগরের ও ২৪ জন বিভিন্ন উপজেলার।
এদিকে চট্টগ্রামে করোনাভাইরাসে আক্রান্তের রোগী বেড়েই চলেছে। তবে বিষয়টি নিয়ে স্থানীয়রা অনেকটাই অসচেতন। চলাচলে অসতর্কতা এবং সামাজিক দূরত্ব ও বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার স্বাস্থ্যবিধি কেউ সঠিকভাবে মেনে চলছেন না। সাধারণ মানুষ হাটবাজার, দোকানপাট ও রাস্তাঘাটে অবাধে চলাচল করছেন। এতে করোনার ভয়াবহ সংক্রমণের আশঙ্কা করছেন স্বাস্থ্যসেবা সংশ্লিষ্টরা।
মার্কেট ও দোকানপাট খোলার পর থেকেই শহরে সাধারণ মানুষের চলাচল বেড়ে গেছে। সাধারণ মানুষের চলাচলে সামাজিক দূরত্ব মানার কোনও বালাই নেই। তাই জেলায় করোনাভাইরাসের আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা আরও কয়েকগুণ বাড়তে পারে বলে মনে করছেন স্বাস্থ্যসেবা সংশ্লিষ্টরা।
বুধবার (১৯ আগস্ট) সকালে গত ২৪ ঘণ্টার করোনা তথ্য জয়নিউজকে নিশ্চিত করেছেন চট্টগ্রামের সিভিল সার্জন ডা. সেখ ফজলে রাব্বি।
তিনি বলেন, মঙ্গলবার চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ল্যাবে ৬১ জনের নমুনা পরীক্ষা করে ১১ জনের করোনা মিলেছে। এর মধ্যে ১ জন নগরের ও ১০ জন উপজেলার বাসিন্দা। বিআইটিআইডিতে ৩০৭ জনের নমুনা পরীক্ষায় নগরের ১৮ জনের এবং উপজেলার ৩ জনের দেহে করোনার জীবাণু পাওয়া গেছে।
চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ ল্যাবে ১০৬ জনের নমুনায় নগরের ১২ ও উপজেলার ২ জনের করোনা মিলেছে। চট্টগ্রাম ভেটেরিনারী বিশ্ববিদ্যালয় ল্যাবে ১২২ জনের নমুনায় নগরের ৬ ও উপজেলার ২ জনের শরীরে করোনা মিলেছে। কক্সবাজার মেডিকেল কলেজ ল্যাবে চট্টগ্রামের ২ জনের করোনা পরীক্ষা করে কারও মধ্যে রোগটি পাওয়া যায়নি।
বেসরকারি ইম্পেরিয়াল হাসপাতালে ৮৩ জনের নমুনা পরীক্ষায় নগরের ১২ জনের করোনা মিলেছে। শেভরণে ২৬০ জনের নমুনা পরীক্ষা করে নগরের ৭২ এবং উপজেলার ৭ জনের করোনা পাওয়া গেছে।
উপজেলায় আক্রান্তদের মধ্যে চন্দনাইশের ১, পটিয়ার ২, বোয়ালখালীর ১, রাঙ্গুনিয়ার ৩, রাউজানের ১, ফটিকছড়ির ৩, হাটহাজারীর ৮, সন্দ্বীপের ১ ও সীতাকুণ্ডের ৪ জন রয়েছেন।
প্রসঙ্গত, চট্টগ্রামে এখন পর্যন্ত ১৬ হাজার ১১৮ জনের মধ্যে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় করোনায় কেউ মারা যাননি। এ পর্যন্ত মারা গেছেন ২৫৩ জন। একইসময়ে ৬২ জনসহ এ পর্যন্ত সুস্থ হয়েছেন ৩ হাজার ৭০৮ জন।
গতকাল মঙ্গলবার চট্টগ্রামে করোনায় সংক্রমিত ১২৮ জন শনাক্ত হওয়ার কথা জানিয়েছিল সিভিল সার্জন অফিস। আর মারা গিয়েছিলেন ১ জন।