চকরিয়ায় দিনদুপুরে দড়ি বেঁধে মা-মেয়েকে নির্যাতন করেছে ইউপি চেয়ারম্যান!

কক্সবাজারের চকরিয়ার হারবাং এলাকায় গরুর চুরির অপবাদ দিয়ে মা-মেয়েকে নির্মমভাবে নির্যাতন চালিয়েছে একদল দুর্বৃত্ত। আর মধ্যযুগীয় কায়গায় এ নির্যাতনের  স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান মিরানুল ইসলামের নেতৃত্বে হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে।

- Advertisement -

একপর্যায়ে তাদের শারীরিক অবস্থার অবনতি ঘটলে পুলিশ এসে মা ও মেয়েকে উদ্ধার করে চকরিয়া হাসপাতালে ভর্তি করে। তবে ওই দুই নারীকে নির্যাতনের সাথে জড়িত ইউপি চেয়ারম্যানসহ জড়িতদের এখনো গ্রেপ্তার করেনি পুলিশ।

- Advertisement -google news follower

শুক্রবার (২১ আগস্ট) দুপুরে হারবাং পহরচাঁদা গ্রামে এ ঘটনা ঘটলে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ঘটনার ছবি ভাইরাল হয়। এনিয়ে ফেসবুকে ক্ষোভ জানিয়ে জড়িতদের বিচারের দাবি জানাচ্ছেন দেশের সাধারণ মানুষ।

বর্তমানে মা ও মেয়ে চকরিয়ার উপজেলা হাসপাতালে বর্তমানে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। তাদের শারীরিক অবস্থা আশংকামুক্ত নয় বলে জানিয়েছেন হাসপাতালের চিকিৎসকরা।

- Advertisement -islamibank
চকরিয়ায় দিনদুপুরে দড়ি বেঁধে মা-মেয়েকে নির্যাতন করেছে ইউপি চেয়ারম্যান!
ইউপি চেয়ারম্যান মিরানুল ইসলাম

চকরিয়া থানার হারবাং তদন্ত কেন্দ্রের পরিদর্শক আমিনুল ইসলাম জানান, শুক্রবার স্থানীয়রা ফাঁড়িতে খবর দিলে আমরা ফোর্স পাঠাই। আমাদের ফোর্স গিয়ে গুরুতর জখম অবস্থায় মা মেয়েকে উদ্ধার করে পুলিশের হেফাজতে নিয়ে আসি। আমরা তাদের চিকিৎসার ব্যবস্থা করেছি।

তিনি আরো জানান, স্থানীয় এক ব্যক্তির দায়ের করা গরু চুরির মামলায় তাদের অভিযুক্ত করা হয়েছে। অভিযুক্তদের মধ্যে মা-মেয়েসহ চার জনের বাড়ি পটিয়ার শান্তির হাটে। অপরজনের বাড়ি চকরিয়া লালব্রিজ এলাকায়।

হারবাং ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান তাদের উপর নির্যাতন হয়েছে কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘এমন অভিযোগ ওদের কেউ করেনি। আমাদের ফোর্স যখন ঘটনাস্থলে যায় তখন সেখানে প্রায় দুই শতাধিক মানুষ উপস্থিত ছিলেন। সেখান থেকে তাদেরকে আমাদের হেফাজতে নিয়ে আসাটাই প্রাধান্য দিয়েছি। আর ভুক্তভোগী কিংবা অন্য কেউ যদি অভিযোগ করে আমরা তদন্ত করে ব্যবস্থা গ্রহণ করব।

তবে ঘটনার একাধিক প্রত্যক্ষদর্শী জানিয়েছেন, একদফা মা-মেয়ের ওপর একদফা মারধর করা হয়। পরে হারবাং ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি ও ইউপি চেয়ারম্যান মিরানুল ইসলাম চৌকিদার আমিনকে পাঠিয়ে তাদেরকে রশিতে বেঁধে তার কার্যালয়ে এনে আবার নির্মমভাবে নির্যাতন করেন। উপর্যুপরি নির্যাতন শেষে চেয়ারম্যানের লোকেরাই পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের ফোন করে পুলিশ ডেকে মা-মেয়েকে মুমূর্ষু অবস্থায় তুলে দেন।

এব্যাপারে হারবাং ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মিরানুল ইসলামের সাথে যোগাযোগ করতে তার মুঠোফোনে যোগাযোগ করলে তা বন্ধ পাওয়া যায়।

জয়নিউজ/গিয়াস/পিডি

 

 

KSRM
পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জয়নিউজবিডি.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন news@joynewsbd.com ঠিকানায়।

এই বিভাগের আরো খবর

সর্বশেষ সংবাদ

×KSRM