চট্টগ্রামে জলাবদ্ধতা নিরসনে সরকার ব্যর্থ বলে দাবি করেছেন নগর বিএনপির সভাপতি ডা. শাহাদাত হোসেন।
তিনি বলেন, জলাবদ্ধতার দৃশ্যমান কোনো সুফল এই সরকার চট্টগ্রামবাসীকে দিতে পারে নাই। এই সরকার গত একযুগেরও বেশী সময় ক্ষমতায় থেকেও চট্টগ্রামের জলাবদ্ধতার সঠিক পদক্ষেপ গ্রহণ করতে সম্পূর্ণরূপে ব্যর্থ হয়েছে।
রোববার (২৩ আগস্ট) জলাবদ্ধতায় ক্ষতিগ্রস্ত অভয়মিত্র মহাশ্মশান পরিদর্শনকালে এ কথা বলেন।
ডা. শাহাদাত বলেন, বিএনপি সরকার আমলেই বলুয়ার দীঘির পাড়ের অভয়মিত্র মহাশ্মশানের অবকাঠামোগত উন্নয়ন হয়েছিল। বর্তমানে হাঁটু পরিমাণ পানিতে দাঁড়িয়ে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের শবদাহ করতে হচ্ছে। সরকার জলাবদ্ধতার বিভিন্ন মেগাপ্রকল্প হাতে নিলেও ওই প্রকল্পগুলো নির্দিষ্ট সময়ে বাস্তবায়িত না হওয়ার কারণে নগরবাসীকে চরম দুর্দশার শিকার হতে হচ্ছে। যতদিন পর্যন্ত জলাদ্ধতা নিরসন হবে না ততদিন পর্যন্ত চট্টগ্রাম নগরবাসীর দুঃখ দুর্দশা লাঘব হবে না।
তিনি আরো বলেন, নগরের জলাবদ্ধতা নিরসনের জন্য সরকার ৫ হাজার ৬১৬ কোটি টাকা ২০১৭ সালে আগস্ট মাসেই একনেকে পাস হওয়ার পর ২০২০ সালের জুন মাসে এ প্রকল্পের মেয়াদ শেষ হওয়ার কথা থাকলেও নগরের ৩৫টি খালের সংস্কার, ড্রেজিং, রিটার্নিং ওয়াল এবং ড্রেনেজ ব্যবস্থা অবকাঠামো উন্নয়নের কাজ এখনো পর্যন্ত বাস্তবায়ন করতে পারে নাই।
চট্টগ্রাম শহরে একটু বৃষ্টি হলেই শহরের বাণিজ্যিক এলাকা চাক্তাই, খাতুনগঞ্জ, কোরবানীগঞ্জ, আছাদগঞ্জ, আগ্রাবাদ, বহদ্দারহাট ও বাকলিয়াসহ অসংখ্য এলাকা হাঁটু থেকে কোমর পরিমান পানিতে তলিয়ে গিয়ে জনগণের দুর্ভোগের সীমা থাকে না।
মহাশ্মশান পরিদর্শনে উপস্থিত ছিলেন নগর বিএনপির সহসভাপতি মো. আলী, যুগ্ম সম্পাদক আব্দুল মান্নান, দেওয়ানবাজার ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি খন্দকার নুরুল ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক সাব্বির আহমেদ, আন্দরকিল্লা ওয়ার্ড বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আবুল বশর, বিএনপি সমর্থিত দেওয়ানবাজার ওয়ার্ডের কাউন্সিলর পদপ্রার্থী ও ওয়ার্ড বিএনপির যুগ্ম মো. লিয়াকত আলী, সহসভাপতি জামাল উদ্দিন, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী হিন্দু ফোরামের কেন্দ্রীয় নেতা রাজীব ধর তমাল, সাংগঠনিক সম্পাদক মো. মুনসুর, মো .হাশেম, তাজ মোহাম্মদ, হারুন, মহিউদ্দিন, হামিদ, জুয়েল, কফিল, সৌরভ প্রিয় পাল, গাজী শওকত, মো. আরিফ, সুব্রত আইচ ও কামরুল।
এছাড়া আরো উপস্থিত ছিলেন অভয়মিত্র মহাশ্মশানের প্রধান পুরোহিত অরুণ চক্রবর্তী, পুরোহিত রূপন চক্রবর্তী, উজ্জ্বল পাল, স্বপন দাশগুপ্ত, লিটন দাশগুপ্ত, শংকর আচার্য ও জহরলাল দাশগুপ্ত।
জয়নিউজ/কাউছার/বিআর
