কক্সবাজারের চকরিয়ায় গরু চুরির অপবাদে মা-মেয়েকে দড়ি বেঁধে প্রকাশ্য দিবালোকে নির্যাতনের ঘটনায় সপ্রণোদিত হয়ে মামলা দায়ের করেছেন চকরিয়ার সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত। একইসঙ্গে চকরিয়া সার্কেলের সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপারকে ৭ কার্য দিবসের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন বিচারক রাজিব কুমার দেব।
একই ঘটনায় কক্সবাজার জেলা প্রশাসক ও চকরিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয় থেকে পৃথক দুইটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।
জেলা প্রশাসনের কমিটিতে স্থানীয় সরকার বিভাগের উপপরিচালক শ্রাবস্তী রায়কে প্রধান করা হয়েছে।
এদিকে ঘটনাস্থল পরির্দশন করেছেন চকরিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সৈয়দ শামসুল তাবরীজ সনেট, চকরিয়া সার্কেলের সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার কাজী মো. মতিউল ইসলাম ও চকরিয়া থানার ওসি মো. হাবিবুর রহমান। এসময় তাঁরা ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শীদের বর্ণনা শুনেন।
আরো পড়ুন: চকরিয়ায় দিনদুপুরে দড়ি বেঁধে মা-মেয়েকে নির্যাতন করেছে ইউপি চেয়ারম্যান!
চকরিয়া সার্কেলের সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার কাজী মো. মতিউল ইসলাম বলেন, চকরিয়ার বিজ্ঞ সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত স্বপ্রণোদিত হয়ে হারবাংয়ে ভাইরাল হওয়া ঘটনায় জনস্বার্থে একটি মামলা নিয়েছেন। মামলাটি তাকে (চকরিয়া সার্কেলের সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার) ৭ কার্য দিবসের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন দেওয়ার জন্য নির্দেশনা দিয়েছেন। আদালতের উক্ত নির্দেশনা পত্রটি হাতে পেয়েছেন বলে জানান তিনি।
চকরিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সৈয়দ শামসুল তাবরীজ সনেট জানান, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে নির্যাতনের দৃশ্যটি ভাইরাল হওয়ার পর তাঁর দৃষ্টিগোচর হয়। তিনি সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে তদন্ত সাপক্ষে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য থানা পুলিশকে প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দিয়েছেন।
তিনি আরো জানান, সংঘটিত ঘটনার বিষয়ে জেলা প্রশাসক কার্যালয় থেকে পৃথক দুইটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।
গত শনিবার দুপুরে মা-মেয়েকে মধ্যযুগীয় কায়দায় নির্যাতনের ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়। এরপর স্থানীয় প্রশাসনের টনক নড়ে।
প্রধান অভিযুক্ত ইউপি চেয়ারম্যান মিরানুল ইসলাম মিরান মুঠোফোন বন্ধ করে আত্মগোপনে রয়েছেন বলে স্থানীয়রা জানিয়েছে।
এদিকে মা-মেয়েসহ ৫ আসামি গরু চুরির মামলায় কারাগারে রয়েছেন। এ মামলায় আসামিদের আইনি সহায়তা প্রদানের ঘোষণা দিয়েছে কক্সবাজার জেলা আইনজীবী সমিতি।
জয়নিউজ/গিয়াস/পিডি