বাঁশখালীর সাংসদ মোস্তাফিজুর রহমান চৌধুরীকে আওয়ামী লীগ থেকে বহিষ্কারের দাবি জানিয়েছেন মুক্তিযোদ্ধা সন্তান কমান্ড চট্টগ্রাম নগর ও জেলা শাখা।
সোমবার (২৪ আগস্ট) চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাব চত্বরে মুক্তিযোদ্ধাদের মানববন্ধনে সাংসদ মোস্তাফিজুর রহমান চৌধুরীর অনুসারীরা হামলা করেন।
মঙ্গলবার (২৫ আগস্ট) প্রেস ক্লাব চত্বরে আয়োজিত প্রতিবাদ সমাবেশে সাংসদ মোস্তাফিজুর রহমান চৌধুরীকে আওয়ামী লীগ থেকে বহিষ্কারের দাবি জানান।
এসময় ওই সাংসদের কুশপুত্তলিকা দাহ করে নিন্দা ও ক্ষোভ জানানো হয়।
প্রতিবাদ সমাবেশে কেন্দ্রীয় যুবলীগের সাবেক প্রেসিডিয়াম সদস্য ও মুক্তিযোদ্ধা সৈয়দ মাহমুদুল হক বলেন, ৭৫ সালের ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধু হত্যার প্রতিবাদ করতে গিয়ে রক্ত দিয়েছে মৌলভী সৈয়দ ভাই। আজ তার পরিবারের উপর হামলা করছে বাঁশখালীর সাংসদ মোস্তাফিজুর রহমান চৌধুরী। আমি এই ন্যাক্কারজনক হামলার তীব্র নিন্দা জানাই। এ ঘৃণ্য কাজের নির্দেশদাতা সাংসদের সদস্যপদ বাতলি করার জন্য প্রধানমন্ত্রীর প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি।
সমাবেশে চট্টগ্রাম মহানগর মুক্তিযোদ্ধা কামান্ডার মু্ক্তিযোদ্ধা মোজাফ্ফর আহমদ বলেন, প্রেস ক্লাবের মতো একটা জায়গায় মুক্তিযোদ্ধাদের মানববন্ধনে হামলার ঘটনা অকল্পনীয়। একজন এমপির কিভাবে সাহস হয় মুক্তিযোদ্ধাদের মানববন্ধনে হামলা করার? সব মুক্তিযোদ্ধাদের সঙ্গে নিয়ে আমি প্রধানবন্ত্রীর কাছে দাবি জানাচ্ছি, এই কুলাঙ্গার এমপির সদস্যপদ বাতিল করে তাকে আওয়ামী লীগ থেকে বহিষ্কার করা হোক।
মুক্তিযোদ্ধা সন্তান সাংসদের সভাপতি ও সাবেকমন্ত্রী জহুর আহমদ চৌধুরীর সন্তান জসিম উদ্দিন চৌধুরী বলেন, আমার বাবা মরহুম জহুর আহমদ চৌধুরী বঙ্গবন্ধুর সঙ্গে সারাদেশ ঘুরে ঘুরে আওয়ামী লীগকে সংগঠিত না করতো আপনারা আজ এমপি হতে পারতেন না। একইভাবে বাঁশখালীতে মৌলভী সৈয়দ আহমদ এবং সুলতানুল কবির চৌধুরীরা আওয়ামী লীগকে শক্ত ভিত্তি না দিলে আপনি মোস্তাফিজ আজকে এমপি হতে পারতেন না। মুক্তিযোদ্ধাদের সমাবেশে হামলার জবাব আপনাকে দিতে হবে।
সমাবেশে আরও বক্তব্য রাখেন চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক চৌধুরী ফরিদ, জেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার (অর্থ) আবদুর রাজ্জাক, মহানগর যুবলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক ফরিদ মাহমুদ, কোতোয়ালি থানা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক হাসান মনসুর, মৌলভী সৈয়দের ভাতিজা জয়নাল আবেদিন ও বাঁশখালী উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সন্তান কমান্ডের আহ্বায়ক ফয়সাল জামিল চৌধরী সাকি।