মানবজাতির মতো কথা বলতে পারে না পশুরা। তেমনি এক ছাগল মুখ ফুটে কথা বলতে না পারলেও মনের ভাব প্রকাশ করে সঠিক সিদ্ধান্ত নিয়ে তাক লাগিয়ে দিল মালিকানা নিয়ে বিবাদ মীমাংসায় হাজির!
আজব এমনই ঘটনা ঘটেছে ভারতের রাজস্থানের উদয়পুরের বল্লভনগর তহসিলের খেরোদা থানা এলাকায়।
জানা গেছে, সেখানে একটি ছাগলের মালিকানা দাবি করেন দুই ব্যক্তি। পুলিশ ও গ্রামের মাতবররা কোনো সিদ্ধান্ত নিতে পারেনি। অবশেষে ছাগলই নিজেই ন্যায়বিচার করে সবাইকে অবাক করে দিয়েছে। দুই ব্যক্তি ছাগলটির মালিকানা দাবি করলে খেরোদা থানা তাদেরকে ওই ছাগল ও ছাগলের বাচ্চা নিয়ে হাজির হওয়ার নির্দেশ দেয়।
ছাগল ও এর বাচ্চা নিয়ে ওই দুই ব্যক্তি হাজির হওয়ার পর ছাগলটি গিয়ে বাচ্চাদের দুধ পান করায়। ফলে পুরো ঘটনা পানির মতো পরিষ্কার হয়ে যায়।
আরো জানা গেছে, খেরোদা থানার ধোলাকোট গ্রামের বাসিন্দা বাবরু রাওয়াতের ছাগল বনে চরতে গিয়ে হারিয়ে যায়। বাবরু রাওয়াত যখন আশেপাশের এলাকায় ছাগল সম্পর্কে খোঁজ নিতে থাকেন, তখন খোঁজ পান এক জায়গায় ছাগলটি রয়েছে।
সেখানকার ওঙ্কারলাল রাওয়াতের বাড়িতে তার ছাগল বাঁধা ছিল। ওঙ্কারলাল জানান, ওই ছাগলটি তার। হাল না ছেড়ে বাবরু গ্রামের মাতবরদের কাছে সাহায্য চান।
কিন্তু তাতে কোনো লাভ না হওয়ায় বিষয়টি খেরোদা থানায় জানান তিনি। পুলিশ বাবরু ও ওঙ্কারকে ছাগল নিয়ে থানায় হাজির হতে বলে।
এরপর দুই গ্রামের বাসিন্দারা সেখানে হাজির হয়। পুলিশ প্রথমে উভয়পক্ষকেই বোঝানোর চেষ্টা করে। কিন্তু তাতে কেউ রাজি না হওয়ায় শেষ পর্যন্ত ছাগলের উপরই দায়িত্ব দেওয়া হয়। ওঙ্কারের কাছে থাকা ছাগল ও বাবরুর কাছে থাকা ছাগলের বাচ্চাদের দু’পাশে রেখে ছাগলকে মাঝে ছেড়ে দেওয়া হয়।
এরপর দেখা যায়, ছাগলটি গিয়ে বাবরুর নিয়ে যাওয়া বাচ্চাগুলোকে দুধ খাওয়ায়। কিন্তু ওঙ্কারের নিয়ে আসা বাচ্চাগুলোকে মাথা দিয়ে আঘাত করে সরিয়ে দেয়। ছাগলের এই ন্যায়বিচার দেখে সেখানে উপস্থিত সবাই অবাক হয়ে যায়। এরপর বাবরুর হাতে ছাগল তুলে দেওয়া হয়।