বাঁশখালীর সংসদ সদস্য মোস্তাফিজুর রহমানকে আওয়ামী লীগ থেকে বহিষ্কারের দাবি জানিয়েছেন চট্টগ্রামের মুক্তিযোদ্ধারা। শনিবার (২৯ আগস্ট) নগরের শেরশাহ এলাকায় মুক্তিযোদ্ধা সংসদ সন্তান কমান্ড বায়েজিদ বোস্তামী থানা কমিটি আয়োজিত এক প্রতিবাদ সমাবেশে মুক্তিযোদ্ধারা এ দাবি জানান।
সমাবেশে বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা সংসদ চট্টগ্রাম নগর ইউনিট কমান্ডার মোজাফফর আহমদ বলেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হত্যার প্রথম প্রতিবাদকারী মৌলভী সৈয়দের বড় ভাই বীর মুক্তিযোদ্ধা ডা. আলী আশরাফকে মৃত্যুর পর রাষ্ট্রীয় সম্মাননা না জানিয়ে মহান মুক্তিযুদ্ধ ও বীর মুক্তিযোদ্ধা নিয়ে বাঁশখালীর এমপি মোস্তাফিজুর রহমান রীতিমতো কটুক্তি করে আসছেন।
তিনি বলেন, আওয়ামী রাজনীতির সঙ্গে এমপি সম্পৃক্ত নন বলেই তার ভাড়াটে সন্ত্রাসী বাহিনী বীর মুক্তিযোদ্ধা, সাংবাদিক ও মুক্তিযোদ্ধার সন্তানদের উপর ন্যাক্কারজনক হামলা চালিয়েছে। জামাত-শিবির ও রাজাকার আল-বদরদের সঙ্গে যোগাযোগ রয়েছে মোস্তাফিজের।
‘এ জন্য বীর মুক্তিযোদ্ধা, সন্তান কমান্ড ও বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার পক্ষ থেকে ইতোপূর্বে চট্টগ্রাম থেকে তাকে অবাঞ্চিত ঘোষণা করা হয়েছে। জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর কাছে স্মারকলিপি প্রদান করা হয়েছে। অবিলম্বে তার সংসদ সদস্য পদ বাতিলসহ আওয়ামী লীগ থেকে তাকে বহিষ্কার না করা পর্যন্ত প্রতিবাদ কর্মসূচি চলমান থাকবে।’
প্রধান বক্তা মুক্তিযোদ্ধা সংসদ সন্তান কমান্ড কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য সরোয়ার আলম চৌধুরী মনি বলেন, জাতীয় দিবসগুলোতে জামাত নেতাদের নিয়ে শহীদ মিনারে পুস্পস্তবক প্রদান, জামাত ঘরনার লোককে কাজী নিয়োগসহ জামাতপ্রীতির অভিযোগ রয়েছে মোস্তাফিজের বিরুদ্ধে। শোকের মাসে প্রেস ক্লাব চত্বরে শান্তিপূর্ণ মানববন্ধনে ন্যাক্কারজনক ঘটনার মূল নায়ক মোস্তাফিজের সংসদ সদস্য পদ বাতিলসহ আওয়ামী লীগ থেকে তাকে বহিষ্কার করতে হবে।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের সভাপতি চৌধুরী ফরিদ বলেন, এমপি মোস্তাফিজুর রহমান একসময় জাতীয় পার্টির রাজনীতির সঙ্গে সরাসরি সম্পৃক্ত ছিলেন। জাতীয় পার্টির গন্ধ এখনও তার শরীর থেকে যায়নি। মোস্তাফিজের নির্দেশে বীর মুক্তিযোদ্ধা, সাংবাদিক ও মুক্তিযোদ্ধার সন্তানদের উপর সন্ত্রাসী হামলা চালানো জাতি কখনো সহ্য করবে না।
মুক্তিযোদ্ধা সংসদ সন্তান কমান্ড বায়েজিদ বোস্তামী থানা কমিটির সাবেক আহ্বায়ক মেজবাহ উদ্দিন আজাদের সভাপতিত্বে ও সদস্য শেখ সাদীর পরিচালনায় সমাবেশে মুক্তিযোদ্ধা সংসদ জেলা ইউনিটের সহকারী কমান্ডার আবদুর রাজ্জাক, মহানগর ইউনিটের সহকারী কমান্ডার সাধন চন্দ্র বিশ্বাস, সহকারী কমান্ডার খোরশেদ আলম প্রমুখ বক্তব্য দেন। সমাবেশ শেষে বিক্ষোভ মিছিল ও সড়কে এমপি মোস্তাফিজের কুশপুত্তলিকা দাহ করা হয়।