চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক সিটি মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন বলেছেন, ১৫ আগস্টের কালো রাত্রিতে বঙ্গবন্ধু হত্যায় জিয়া রহমানের ভূমিকা ছিল বেশি। জিয়াউর রহমান বঙ্গবন্ধুর খুনিদের পুরস্কৃত করেছিলেন। ইতিহাস বিকৃত করে দেশে স্বৈরশাসন চালু করে গণতন্ত্রকে হত্যা করেছিল। জিয়াউর রহমানের মরণোত্তর বিচার হওয়া উচিত।
রোববার (৩০ আগস্ট) জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে বক্সিরহাট ওয়ার্ড চাক্তাই ইউনিট আওয়ামী লীগের উদ্যোগে অনুষ্ঠিত মিলাদ মাহফিল ও আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
সাবেক মেয়র বলেন, ১৫ আগস্ট বাঙালির কাছে শুধু শোক নয়, শোককে শক্তিতে পরিণত করার দিনও বটে। বর্বর পাকিস্তানি শাসকগোষ্ঠী দীর্ঘ ২৪ বছরের শাসনামলে বাঙালির শৌর্য, সম্পদ, ঐতিহ্য, ইতিহাস ধ্বংসের খেলায় মেতে উঠেছিল। কিন্তু জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের দেখানো স্বপ্ন বাস্তবায়নে বীর বাঙালি কখনো কাঙ্খিত লক্ষ্য থেকে পিছু হটেনি।
নাছির আরো বলেন, পাকিস্তানির আঘাত, শোষণ, নিপীড়নকে এগিয়ে চলার অদম্য উৎসাহ হিসেবে মনে ধরেছিলেন এই মহামানব। আঘাত থেকেই প্রতিরোধের শক্তি সঞ্চার করেছেন তিনি। শোষিতের কষ্ট থেকেই শাসনের মন্ত্র পেয়েছিলেন তিনি। শোকে কাতর না হয়ে শোককে শক্তিতে পরিণত করার নীতিই বঙ্গবন্ধুর নীতি। আমাদেরকে জাতির জনকের সেই বজ্রকঠিন আদর্শ গ্রহণ করতে হবে।
আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন হাজী মীর আহমদ সওদাগর। শান্ত দাশগুপ্তের সঞ্চালনায় সভায় বক্তব্য রাখেন নগর আওয়ামী লীগ সদস্য হাজী বেলাল আহমেদ, বক্সিরহাট ওর্য়াড আওয়ামী লীগ সভাপতি নুরুল আমিন শান্তি, সাবেক কাউন্সিলর হাজি নুরুল হক, সাবেক আওয়ামী লীগ নেতা এসএম হারুনুর রশীদ, বক্সিরহাট আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক লিটন রায় চৌধুরী, সাহেদ হোসেন টিটু, ওয়ার্ড আওয়ামী লীগ নেতা ওমর ফারুক বাবুল, মো. বেলাল হোসেন চৌধুরী, দোলন দাশগুপ্ত, মো. সামসুল আলম, ডা. সুশীল নাথ, আওয়ামী লীগ নেতা এসএম মামুনুর রশীদ মামুন, প্রশান্ত ভট্টাচার্য, উওম কুমার নাগ, মো. আলমগীর, মো. আইয়ুব, মো. ফরিদ, নুর মোহাম্মদ, রাজু চৌধুরী, সুবল সরকার, সুভাস চন্দ্র, উজ্জ্বল দাশ, আবদুল বারেক, সদাওগর, আবদুল মতিন, মো. ইউনুস, মো. মিজান, মো. নাজিম, ওমর মিয়া সর্দার, নজরুল ইসলাম দুলাল, তপন চৌধুরী মিঠু, মো. সেলিম, মো. আক্তার কামাল, যুবলীগ নেতা মহিউদ্দিন জনি, মো. লিটন, রূপন ভট্টাচার্য, বিশ্বজিত, বিশ্বাস, সুজিত সেন, নুরুল্লা বুলু, ছাত্রলীগ নেতা তানজিরুল হক ও আইনুল আবীর।