সেনাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা নিহতের ঘটনায় তালিকাভুক্ত ৬৮ জনের মধ্যে ইতোমধ্যে ৬৭ জনের সঙ্গে কথা বলেছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের গঠিত তদন্ত কমিটি। তবে ওসি প্রদীপ কুমার দাশের সঙ্গে কথা বলার পরই প্রাপ্ত তথ্য-উপাত্ত বিশ্লেষণ করে কয়েকদিনের মধ্যেই সরকারের কাছে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেওয়া হবে। এমনটিই জানিয়েছেন তদন্ত কমিটির প্রধান পুলিশের অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার মিজানুর রহমান।
রোববার ( ৩০ আগস্ট) বিকালে তিনি এ কথা জানান।
তিনি বলেন, এজন্য ইতোমধ্যে সরকারের কাছে আরও কয়েকদিন সময় চাওয়া হয়েছে।
আমরা আশা করছি, রিমান্ড শেষ হলে আগামী ১ সেপ্টেম্বর প্রদীপের সঙ্গে কথা বলা সম্ভব হবে।
গত ৩১ জুলাই কক্সবাজার মেরিন ড্রাইভ সড়কে পুলিশের গুলিতে নিহত হন সেনাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা। ওই সময় পুলিশ দাবি করেছিল, তল্লাশি চৌকিতে গাড়ি থামালে সিনহা গুলি করতে উদ্যত হলে পাল্টা গুলি চালানো হয়। পুলিশের এ দাবি নিয়ে নানা প্রশ্ন ওঠার পর গত ১ আগস্ট স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় তিন সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করে। পরদিন কমিটি পুনর্গঠন করা হয়।
পুনর্গঠিত ওই তদন্ত কমিটিকে সাত দিনের মধ্যে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়। পরে কমিটির আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আরও ৭ দিন সময় বাড়ানো হয়। ২৩ আগস্টের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের কথা জানিয়েছিলেন তদন্ত কমিটির প্রধান। পরে এ সময় বাড়িয়ে ৩১ আগস্টের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেওয়ার কথা বলা হয়। এদিকে নির্ধারিত সময়ের মধ্যে প্রতিবেদন দেওয়া সম্ভব নয় বলে জানিয়েছে তদন্ত কমিটি।
উল্লেখ্য, গত ৩১ জুলাই (ঈদুল আজহার আগের রাত) সাড়ে ১০টার দিকে কক্সবাজার-টেকনাফ মেরিন ড্রাইভের বাহারছড়া ইউনিয়নের শামলাপুর চেকপোস্টে পুলিশের গুলিতে নিহত হন মেজর (অব.) সিনহা রাশেদ খান। ঘটনার পর পুলিশ বাদী হয়ে টেকনাফ থানায় দুটি মামলা করে। আর রামু থানায় একটি মামলা করা হয়। ৫ আগস্ট কক্সবাজার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হত্যা মামলা করেন সিনহার বড় বোন শারমিন শাহরিয়া ফেরদৌস। এতে নয়জনকে আসামি করা হয়।