সাবেক পুলিশ সুপার (এসপি) বাবুল আক্তারের স্ত্রী মাহমুদা খানম মিতু হত্যা মামলার আসামি মো. শাহজাহানের আবার দুই দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। তদন্ত কর্মকর্তার আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে রোববার (৬ সেপ্টেম্বর) চট্টগ্রাম মহানগর হাকিম শফি উদ্দিন এই রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের সহকারী কমিশনার (প্রসিকিউশন) কাজী শাহাবুদ্দিন আহমেদ বলেন, মিতু হত্যা মামলায় আসামি শাহজাহান, মোতালেব মিয়া প্রকাশ ওয়াসিম ও আনোয়ার হোসেনকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে ৫ দিনের রিমান্ডের আবেদন করেন তদন্ত কর্মকর্তা। শুনানি শেষে আদালত শাহজাহানকে দুইদিন দিনের রিমান্ডে নিতে অনুমতি দিয়েছেন। বাকি দুই আসামিকে জেলগেটে জিজ্ঞাসাবাদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
আলোচিত মামলাটির বর্তমান তদন্ত কর্মকর্তা (আইও) পিবিআইর চট্টগ্রাম মেট্রো অঞ্চলের অতিরিক্ত সুপার মো. মাঈন উদ্দিন বলেন, আসামিরা আগে যেসব তথ্য দিয়েছেন, তা যাচাই করতেই তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে। এক প্রশ্নের জবাবে তিন বলেন, আমরা মূলত দুটি তথ্য জানতে চাই।
প্রথম– কামরুল ইসলাম শিকদার ওরফে মুছা কেন প্রধান পরিকল্পনাকারী হল? এখানে তার স্বার্থ কী? এ ঘটনায় কারও ইন্ধন আছে কি না? মুছার নেপথ্যে কে?
দ্বিতীয় প্রশ্ন হলো– বাবুল আক্তারের শ্বশুর শুরুতে মেয়ে জামাইকে মহান দাবি করলেও এখন তাকেই কেন অভিযুক্ত করছেন? এ দুটি বিষয় ‘মাথায় রেখেই’ তারা তদন্ত এগিয়ে নিতে চান বলে জানান আইও মাঈন উদ্দিন।
আসামি শাহজাহান রাঙ্গুনিয়া উপজেলার রানীরহাট এলাকার কবির আহমদের ছেলে, মোতালেব মিয়া প্রকাশ ওয়াসিম রাঙ্গুনিয়া উপজেলার দক্ষিণ রাজানগর এলাকার আবদুন নবীর ছেলে ও আনোয়ার হোসেন ফটিকছড়ি উপজেলার পাইড্রালিকুল এলাকার সামছুল আলমের ছেলে।
উল্লেখ্য, ২০১৬ সালের ৫ জুন চট্টগ্রাম নগরের জিইসি মোড় এলাকায় বাবুল আক্তারের স্ত্রী মাহমুদা খানম খুন হন। এ ঘটনায় বাবুল আক্তার অজ্ঞাতপরিচয় তিনজনের বিরুদ্ধে পাঁচলাইশ থানায় মামলা করেন। হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার দুই আসামি ওয়াসিম ও আনোয়ার ২৬ জুন আদালতে জবানবন্দি দেন।
এতে তারা উল্লেখ করেন, হত্যাকাণ্ডে ওয়াসিম, আনোয়ার, মো. রাশেদ, নবী, মো. শাহজাহান, কামরুল সিকদার ওরফে মুছা ও মো. কালু অংশ নেন। হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত মোটরসাইকেলে ছিলেন ওয়াসিম, মুছা ও নবী। মাহমুদাকে ছুরিকাঘাত করেন নবী। ভোলা অস্ত্র সরবরাহ করেন।
এরপর ২০১৭ সালে ২৪ জুন বাবুল আক্তারকে ঢাকা মহানগর পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগের কার্যালয়ে প্রায় ১৪ ঘণ্টা জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। ৬ সেপ্টেম্বর বাবুলকে পুলিশের চাকরি থেকে অব্যাহতি দেয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।