চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের (চসিক) প্রশাসক খোরশেদ আলম সুজন বলেছেন, নগরের যেখানে নাগরিক দুর্ভোগ হবে সেখানেই তাৎক্ষণিক অ্যাকশন চলবে।
হকারদের উদ্দেশ্যে সুজন বলেন, মানুষের চলাচলের পথে কাঁটা হবেন না। মানুষের চলাচলের পথ সুগম করতেই মাননীয় প্রধানমন্ত্রী আমাকে প্রশাসকের দায়িত্ব দিয়েছেন। আমি কোনভাবেই পূনর্বাসন ছাড়া হকার উচ্ছেদের পক্ষে নই। তবে মানুষের চলাচলের পথে কোনো প্রতিবন্ধকতা সহ্য করা হবে না।
রোববার (৬ সেপ্টম্বর) মাঝিরঘাট স্ট্যান্ড রোড, নিউমার্কেট মোড়, ষ্টেশনরোড, রেলওয়ে কভারস্টোর, ফলমুন্ডি বাজার, চিটাগাং শপিং কমপ্লেক্সসহ বিভিন্ন জায়গায় হকার, ফুটপাত, বাজার, রাস্তা ও পার্কিং সরেজমিনে পরিদর্শনকালে তিনি এসব কথা বলেন।
প্রশাসক সুজন বলেন, অনেক সড়কে নিষেধ সত্ত্বেও হকাররা চৌকি বসিয়ে বাঁশ ও কাঠ দিয়ে অস্থায়ী স্থাপনা ও ছাউনি বানিয়ে রেখেছে। রাস্তার যানবাহন ও পথচারী চলাচলের অংশেও তারা ব্যবসা-পাতির পসরা সাজিয়েছেন। ফুটপাতের জায়গায় চলাচলের পথে বড় বড় চৌকি বসিয়েছেন— এ আচরণ সহ্যের সীমা অতিক্রম করেছে।
হকারদেরকে আরো স্পষ্ট করে সুজন বলেন, রাস্তার উপর তাদের নির্মাণ করা স্থাপনা ও চকিগুলো সরিয়ে না ফেললে ওগুলোকে জব্দ করে নিলামে তোলা হবে। কারণ হকার নেতাদের সঙ্গে আলাপ-আলোচনা করে আমি যে ছাড়গুলো দিয়েছি, তা কেউ যদি দুর্বলতা মনে করেন তাহলে তাদের জন্য কঠোর দণ্ড অপেক্ষা করছে।
এসময় তিনি ষ্টেশন রোডের নুপুর মার্কেটের সামনে পাবলিক টয়লেটটির নির্মাণকাজ আপাতত বন্ধ রাখা এবং চসিক প্রদত্ত নকশানুযায়ী কাজ হচ্ছে কি-না, তা অফিসে এসে দেখানোর নির্দেশ দেন।
চসিক প্রধান রাজস্ব কর্মকর্তা মুফিদুল আলম, প্রশাসকের একান্ত সচিব মো. আবুল হাশেম, চিটাগাং শপিং কমপ্লেক্স দোকান মালিক সমিতির সভাপতি সহিদুল ইসলাম চৌধুরী, সাধারণ সম্পাদক গোলাম মোস্তফা, ফলমুন্ডি ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলম, হোসেন শহীদ সরওয়ারদী, তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী বিপ্লব দাশ, সহকারী প্রকৌশলী আশিক উল ইসলাম, মজিবুল হায়দার, উপসহকারী প্রকৌশলী নুর সোলায়মান ও চন্দন দাশ উপস্থিত ছিলেন।