বন্দর নগরী চট্টগ্রামে এখন চলছে শুঁটকি উৎপাদনের ধুম। করোনা সংকটেও শুঁটকি পল্লির শ্রমিকরা কাজ চলেছেন বিরামহীনভাবে। শুঁটকির ব্যাপক চাহিদার সঙ্গে যোগানের সমন্বয় করতে বিশাল এক কর্মযজ্ঞ চলছে শুঁটকি পল্লিগুলোতে।
কর্ণফুলী নদীর তীরঘেঁষা বাকলিয়া, ইছানগর, ডাঙ্গারচর, কর্ণফুলী ঘাট, ফিশারিঘাট, চাক্তাই, রাজাখালী, মইজ্যারটেক ও জুলধায় গড়ে উঠেছে এসব শুঁটকি পল্লি। এখানে উৎপাদিত এসব শুঁটকি স্থানীয় চাহিদা মিটিয়ে এখন বিদেশেও রপ্তানি হচ্ছে।
সাগরে মাছ ধরার উপর নিষেধাজ্ঞা উঠে যাওয়ায় শুঁটকি উৎপাদন চলছে পুরোদমে। প্রতিদিন সূর্যের প্রখর তাপে শুকানো হচ্ছে সাগর থেকে সংগ্রহ করা হচ্ছে বিভিন্ন প্রজাতির মাছ। এর মধ্যে ছুরি, ফাইস্যা, লইট্টা মাছ শুকানো হচ্ছে বেশি। শুঁটকি পল্লিতে পুরুষ শ্রমিকদের পাশাপাশি নারীরাও হাত চালাচ্ছেন সমানতালে।
শ্রমিকরা বলছেন, নিয়মিতভাবে সূর্যের তাপ পেলে ৩ থেকে ৪ দিনের মধ্যেই কাঁচা মাছ শুকিয়ে গিয়ে শুঁটকিতে পরিণত হয়। এরপর শুঁটকিগুলো বস্তাবন্দী করে ট্রাকে করে পাঠানো হয় আড়তে।সেখানে থেকেই চলে যায় দেশের বিভিন্ন প্রান্তে। এছাড়া প্যাকেট করে বিদেশেও রপ্তানি হয়।
তবে অভিযোগ রয়েছে, পোকা মাকড় থেকে রক্ষা এবং স্থায়িত্ব বাড়াতে এসব শুঁটকিতে ব্যবহার করা বিভিন্ন কীটনাশক ব্যবহার করা হয় যা মানবস্বাস্থ্যের জন্য খুবই ক্ষতিকর।
জয়নিউজ/পিডি