এক সন্ধ্যায় একটি নিমন্ত্রণপত্র এসে পৌঁছেছিল বাড়িতে। প্রখ্যাত এক লেখকের মৃতা স্ত্রীর স্মরণে অনুষ্ঠান। কিন্তু যাঁর স্মৃতিতে অনুষ্ঠান, লেখকের সেই জীবনসঙ্গিনীর নাম একবারের জন্যেও উল্লেখ নেই কার্ডে!
তিন বছর আগে আফগানিস্তানের ঘটনা এটি। অবশ্য সেই দেশে এ ঘটনা নতুন নয়। বিয়ের কার্ড হোক কিংবা অন্য কিছু মেয়েদের নাম থাকে না কোথাও। এখানে মেয়েদের পরিচয় শুধুই— কারও মা, কারও মেয়ে, কারও বোন কিংবা কারও স্ত্রী।
তবু নিমন্ত্রণপত্রটা হাতে নিয়ে স্থির থাকতে পারেননি হেরাট বিশ্ববিদ্যালয়ের স্নাতক, ২৮ বছর বয়সি লালে ওসমানি। সোশ্যাল মিডিয়ার সামনে প্রশ্নটা রাখেন— #হোয়্যারইজ়মাইনেম।
তিন বছর আগে ওসমানির তোলা সেই প্রশ্নের ‘জবাব’ মিলেছে অবশেষে। আফগান তরুণীর দাবি ছিল, জাতীয় পরিচয়পত্রে বাবার পাশাপাশি মায়ের নামও থাকতে হবে।
অবশেষে এসেছে সুখবর, প্রস্তাব গ্রহণ করেছে আফগান সরকার। গত সপ্তাহে জনগণনা আইন সংশোধন করেছে তারা। তবে এখনও পার্লামেন্টে নয়া আইন পাশ হওয়া বাকি। সরকারি সূত্রের খবর, গ্রীষ্মের ছুটির শেষে পার্লামেন্ট চালু হলে সেটাও হয়ে যাবে।
জয়নিউজ