আকাশে মেঘের লুকোচুরি, দিগন্তজুড়ে সাদা কাশফুল বলছে- আসছে মা দূর্গা। দেবীর আগমনে প্রকৃতিতে সেই চিরচেনা সাজ। সবকিছু নিয়মমাফিক চললেও ব্যতিক্রম শুধু মৃৎশিল্পীদের ক্ষেত্রে।
প্রতিবছর বৈশাখ মাসের শুরু থেকেই দুর্গা প্রতিমা তৈরির কাজ শুরু করেন মৃৎশিল্পীরা। বিভিন্ন জায়গার পূজা কমিটির সদস্যরা এসে বায়না করে যান। অর্ডার অনুযায়ী প্রতিমা গড়তে দম ফেলার ফুসরত পেতেন না। কিন্তু এবছর শারদোৎসবে করোনা যেন সবকিছু এলোমেলো করে দিয়েছে। নগরের প্রতিমালয়গুলোতে নেই চিরচেনা সেই ব্যস্ততা।
কথা হয় হাজারী গলির মহামায়া স্টুডিওর স্বত্বাধিকারী মৃৎশিল্পী উত্তম পালের সঙ্গে। তিনি বলেন, আয়-রোজগারের মূল কাজটি হয় এই সময়ে। কারখানায় দম ফেলার সুযোগ থাকে না। জুলাই শেষদিকে থেকে অনেকে প্রতিমা তৈরির অর্ডার দিয়ে দেন। তবে এবছর এখনও তেমন প্রতিমা তৈরির কাজ পাইনি। এবছর মাত্র ১৩ সেটের মতো প্রতিমা তৈরির অর্ডার পেয়েছি।
সরদঘাট এলাকার স্বর্গীয় দুলাল পাল শিল্পালয়ের স্বত্বাধিকারী মৃৎশিল্পী সুজন পাল বলেন, এসময় আমাদের ইনকামের সময়। কিন্তু তেমন কোনো কাজ নেই। অন্যান্য বছর থেকে কাজ অনেক কম।
তিনি আরো বলেন, আমার কারখানায় ১০-১৫ জনের মতো মৃৎশিল্পী কাজ করেন। লকডাউনের আগে বাসন্তী পূজার প্রতিমা তৈরি করতে দিয়েছিলেন অনেকে। কিন্তু পূজা না হওয়ায় তারা কেউ প্রতিমা নেননি। এতে আমাদের অনেক ক্ষতি হয়েছে।
প্রসঙ্গত, এবছর কেন্দ্রীয় পূজা উদ্যাপন পরিষদের পক্ষ থেকে ধর্মীয় বিধি মেনে সীমিত পরিসরে শারদীয়া দুর্গোৎসবের নিদের্শনা দেওয়া হয়েছে। এবার নগরের অনেক অস্থায়ী মণ্ডপে দূর্গাপূজা আয়োজন না হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
জয়নিউজ/পিডি