দাবি আদায়ে বুধবার (৩ অক্টোবর) সারাদেশের সব জেলায় বিক্ষোভ কর্মসূচি ও জেলা প্রশাসকের কাছে স্মারকলিপি এবং বৃহস্পতিবার (৪ অক্টোবর) সব মহানগরে বিক্ষোভ কর্মসূচি পালনের ঘোষণা দিয়েছে বিএনপি।
রোববার (৩০ সেপ্টেম্বর) বিকেলে রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে বিএনপি আয়োজিত জনসভায় দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এ কর্মসূচি ঘোষণা করেন।
জনসভায় ফখরুলের সভাপতিত্বে কারাবন্দী বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়ার জন্য ‘প্রধান অতিথি’র আসন ফাঁকা রাখা হয়। প্রধান বক্তা ছিলেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন।
জনসভায় সরকারের উদ্দেশে বিএনপির পক্ষ থেকে ৭ দফা দাবি ও ১২ দফা লক্ষ্য (অঙ্গীকার) ঘোষণার আগে ফখরুল বলেন, আওয়ামী লীগ দেশটাকে ধ্বংস করে দিয়েছে। দুর্নীতি-লুটপাট করে আজ অর্থনীতিকে শেষ করে দেওয়া হয়েছে। আমাদের অসংখ্য সহযোদ্ধাকে গুম ও হত্যা করেছে। প্রতিদিন কয়েক হাজার ‘গায়েবি মামলা’ দিচ্ছে।
সরকার ও পুলিশ-প্রশাসনকে উদ্দেশ করে বিএনপি মহাসচিব আরো বলেন, এই ‘মিথ্যা মামলার’ জন্য ভবিষ্যতে জবাবদিহি করতে হবে। সব ঘটনার তদন্ত হবে। তখন কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না। এই সরকারকে বিএনপির ভয়ে ধরেছে। তারা খালেদা জিয়া ও তারেক রহমান আতঙ্কে ভুগছে।
খালেদা জিয়ার মুক্তি, নির্বাচনকালীন নিরপেক্ষ সরকার গঠনসহ সাত দফা দাবি আদায়ে কর্মসূচি ঘোষণা করে ফখরুল বলেন, এসব দাবি আদায়ে আগামী ৩ অক্টোবর জেলায় জেলায় বিক্ষোভ কর্মসূচি ও জেলা প্রশাসক বরাবর স্মারকলিপি প্রদান এবং ৪ অক্টোবর মহানগর পর্যায়ে বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করা হবে। এভাবে দাবি আদায়ে পরবর্তী কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে।
সভায় আরও বক্তব্য রাখেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ, জমির উদ্দিন সরকার, ড. আব্দুল মঈন খান, মির্জা আব্বাস, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, নজরুল ইসলাম খান, মির্জা আব্বাস, ভাইস চেয়ারম্যান আব্দুল্লাহ্ আল নোমান, মেজর (অব.) হাফিজ উদ্দিন আহমদ, বরকত উল্লাহ বুলু, অ্যাডভোকেট খন্দকার মাহবুব হোসেন, শামসুজ্জামান দুদু, জয়নাল আবেদীন প্রমুখ।
জয়নিউজ/শহীদ/জুলফিকার