যৌতুকের দাবিতে স্ত্রীর চুল কেটে দিয়েছে স্বামী, শরীরে দিয়েছে গরম খুন্তির ছ্যাঁকা। আহত স্ত্রীকে শুক্রবার (১১ সেপ্টেম্বর) দুপুরে উদ্ধার করে ভর্তি করা হয়েছে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে। বরগুনার তালতলীতে ঘটেছে এ ঘটনা।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ২০০৯ সালে তালতলীর বড় আমখোলা গ্রামের আব্দুল খালেক খাঁনের মেয়ে মার্জিয়ার সঙ্গে বরগুনা সদর উপজেলার ধুপতি গ্রামের আনোয়ার খানের ছেলে মানিক খাঁনের বিয়ে হয়। বিয়ের পরে শ্বশুর খালেক খাঁন জামাতা মানিককে বাড়ি নির্মাণের জন্য দুই লাখ টাকা দেন। ওই টাকা দিয়ে মানিক শ্বশুরবাড়ির পাশে বাড়ি নির্মাণ করে বসবাস করে আসছেন। মানিক দম্পতির দুইটি মেয়ে সন্তান রয়েছে।
তিন বছর আগে মানিক ঢাকায় চলে যান। ওই সময় থেকেই মানিক তার স্ত্রী মার্জিয়া ও দুই মেয়ের কোনো খোঁজ খবর নিচ্ছে না।
বৃহস্পতিবার মানিক শ্বশুরবাড়িতে আসেন এবং স্ত্রীকে তার বাড়িতে নিয়ে যান। ওইদিন রাত ১১টার দিকে মানিক ব্যবসার কথা বলে মার্জিয়ার বাবার কাছ থেকে ফের দুই লাখ টাকা এনে দিতে বলেন। টাকা দিতে অস্বীকার করায় মানিক ক্ষিপ্ত হয়ে মার্জিয়াকে বেধড়ক মারধর শুরু করেন। একপর্যায়ে মানিক, তার বোন জাকিয়া ও মা আলেয়া মিলে মার্জিয়ার শরীরের ১২ স্থানে গরম খুন্তির ছ্যাঁকা দেয় এবং চুল কেটে দেয়। পরদিন শুক্রবার গুরুতর আহত অবস্থায় প্রতিবেশীরা তাঁকে আমতলী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে।
আমতলী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের উপ-সহকারী কমিউনিটি মেডিকেল অফিসার নিখিল চন্দ্র বলেন, মার্জিয়ার শরীরের ১২ স্থানে আগুনে ঝলসে যাওয়ার চিহ্ন রয়েছে। তার মাথায় পেছনের চুলও কাটা।
তবে অভিযুক্ত মানিক খাঁন যৌতুক চাওয়ার কথা অস্বীকার করে বলেন, সামান্য ঝগড়াঝাটি হয়েছে, মারধর কিংবা কোনো খুন্তির ছ্যাঁকা দেইনি।
জয়নিউজ