ঘোড়াঘাট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ওয়াহিদা খানমের ওপর হামলার ঘটনার নেতৃত্ব ছিল তারই বাসার মালি রবিউল ইসলাম ফরাস। ইউএনও’র ওপর হামলায় জড়িত থাকার কথা পুলিশের কাছে স্বীকার করেছে রবিউল।
শনিবার (১২ সেপ্টেম্বর) দিনাজপুর পুলিশ সুপার কার্যালয়ে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে এসব তথ্য জানান রংপুর রেঞ্জের পুলিশের ডিআইজি দেবদাস ভট্টাচার্য। হামলায় ব্যবহৃত হাতুড়ি এবং মই আসামির স্বীকারোক্তি মতো উদ্ধারও করা হয়েছে বলেও জানান তিনি।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক পুলিশের এক কর্মকর্তা জানান, ইউএনও ওয়াহিদা খানমের ৫০ হাজার টাকা খোয়া যাওয়ার ঘটনায় মালি রবিউল ইসলাম ফরাসকে চার মাস আগে সাময়িক বরখাস্ত করে জেলা প্রশাসনের কার্যালয়ে রাখা হয়। সিসিটিভির ফুটেজ এবং সাময়িক বরখাস্ত ঘটনার বিবেচনায় মালি রবিউল ইসলাম ফরাসকে গত বৃহস্পতিবার গ্রেফতার করে ডিবি পুলিশ। পরে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিতে সে ঘটনার সবকিছু জানায়।
জানা যায়, জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে রবিউল ইসলাম ফরাস ঘোড়াঘাট ইউএনওর বাসভবনে ২০১৯ সালের শেষে অস্থায়ী মালি হিসেবে নিয়োগ পান। চার মাস আগে মালি রবিউল ইউএনও ওয়াহিদার বাসা থেকে একটি লাগেজ ইউএনও কার্যালয়ে পৌঁছে দেওয়ার সময় সেখান থাকা ৫০ হাজার টাকা খোয়া যায়।
পরে এ ঘটনাটি ইউএনও ওয়াহিদা জেলা প্রশাসককে জানালে জেলা প্রশাসক মালি রবিউলকে সাময়িক বরখাস্ত করে জেলা প্রশাসনের কার্যালয়ে নিযুক্ত করেন। রবিউলের বাড়ি দিনাজপুরের বিরল উপজেলার বিজোড়া গ্রামে।
এই মামলায় আজ শনিবার বিকেল ৫টায় রবিউল ইসলাম ফরাসকে সিনিয়র জুটশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ইসমাইল হোসেনের আদালতে হাজির করে ১০ দিনের রিমান্ড চায় মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ডিবি’র ওসি ইমাম আবু জাফর। আদালত ছয় দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
এদিকে রবিউলকে রিমান্ড চেয়ে আদালতে পাঠানোর আগে সংবাদ সম্মেলন করে পুলিশ। প্রেস ব্রিফিংয়ে রংপুর রেঞ্জের পুলিশের ডিআইজি দেবদাস ভট্টাচার্য ছাড়াও দিনাজপুর জেলা পুলিশ সুপার মোহাম্মদ আনোয়ার হোসেন, ইউএনও ওয়াহিদা খানম হত্যাপ্রচেষ্টা মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ডিবি পুলিশের ওসি ইমাম আবু জাফর উপস্থিত ছিলেন।
জয়নিউজ