জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ছোট মেয়ে শেখ রেহানার ৬৬তম জন্মদিন আজ।
১৯৫৫ সালের ১৩ সেপ্টেম্বর গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় জন্মগ্রহণ করেন তিনি। বরাবরের মতো এবারেও তার জন্মদিনে তেমন কোনো আয়োজন নেই।
১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট ঘাতকরা বঙ্গবন্ধু, বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিবসহ পরিবারের সদস্যদের নির্মমভাবে হত্যা করে। সে সময় জার্মানিতে বড় বোন শেখ হাসিনার সঙ্গে থাকায় বেঁচে যান শেখ রেহানা। সেখান থেকে ভারতে চলে যান দুই বোন। পরে শেখ রেহানা পরিবার নিয়ে যুক্তরাজ্যে যান। যুক্তরাজ্যে ‘রাজনৈতিক আশ্রয়’ পাওয়ার পর থেকে সেখানেই থাকেন তিনি।
বড় বোন শেখ হাসিনা ১৯৮১ সালে দেশে ফিরে আওয়ামী লীগের হাল ধরেছেন। চার দফায় দেশের প্রধানমন্ত্রীও হয়েছেন তিনি। তবে দেশের সবচেয়ে ঐতিহ্যবাহী ও শীর্ষ রাজনৈতিক পরিবারের সন্তান হয়েও কখনও সক্রিয় রাজনীতির সামনের সারিতে আসেননি শেখ রেহানা। মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার আন্দোলন-সংগ্রামে প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনাসহ দলের পাশে থেকে অনুপ্রেরণা ও সহায়তা দিয়ে যাচ্ছেন তিনি।
রাজনীতিতে না জড়ালেও জনহিতৈষী ও জনকল্যাণকর কাজে সব সময় ভূমিকা রেখে আসছেন শেখ রেহানা। ঢাকার ধানমন্ডিতে তার নামে বরাদ্দকৃত বাড়িটিও দান করেছেন দেশের কাজে। বঙ্গবন্ধুর ছোট মেয়ে শেখ রেহানা সবার কাছে ‘ছোট আপা’ বলে পরিচিত ও সম্মানিত।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যাকাউন্টিং ও ইনফরমেশন সিস্টেমস বিভাগের অবসরপ্রাপ্ত অধ্যাপক ড. শফিক আহমেদ সিদ্দিক ও শেখ রেহানা দম্পতির তিন ছেলেমেয়ে। তাদের মধ্যে বড় মেয়ে রেজওয়ানা সিদ্দিক টিউলিপ ব্রিটিশ পার্লামেন্টে লেবার পার্টির এমপি। ছেলে রাদওয়ান মুজিব সিদ্দিক ঢাকায় একটি আন্তর্জাতিক সংস্থায় কর্মরত। আর ছোট মেয়ে আজমিনা সিদ্দিক লন্ডনে কন্ট্রোল রিস্কস নামে একটি প্রতিষ্ঠানের গ্লোবাল রিস্ক অ্যানালাইসিস সম্পাদক।
রাজনীতি ও ক্ষমতার কেন্দ্রবিন্দুতে থাকলেও নির্মোহ শেখ রেহানা সবসময়ই অন্তরালেই থেকেছেন বড় বোন শেখ হাসিনার প্রাণশক্তি হিসেবে। বিশ্বমণ্ডলে ১৫ আগস্টের হত্যাকাণ্ডের প্রথম বিচার দাবি করেন শেখ রেহানা।