চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের (চসিক) প্রশাসক মো. খোরশেদ আলম সুজন বলেছেন, আমার কাজ কথা বলবে। আমি আমার সর্বোচ্চ দিয়ে নগরবাসীর অধিকার আদায়ে অবদান রাখার প্রত্যয় ব্যক্ত করেছি। এজন্য দরকার নগরবাসীর সহযোগিতা ও সদিচ্ছা।
সোমবার ( ১৪ সেপ্টেম্বর) নগরের মাঝিরঘাট স্ট্যান্ড রোড হয়ে কদমতলী ফ্লাইওভার থেকে দেওয়ানহাট মোড় পর্যন্ত মাইকিং করে ফুটপাত ও রাস্তা পরিদর্শনকালে প্রশাসক এসব কথা বলেন।
এসময় প্রশাসক কদমতলী ও দেওয়ানহাট ফ্লাইওভারের নিচে এবং ফুটপাত অবৈধ দখল করে ব্যবসা অবকাঠামো নিজ জিম্মায় সরিয়ে নেওয়ার জন্য সবাইকে হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেন, অন্যথায় ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনায় কঠোর অবস্থানে যাবে চসিক।
এসময় উপস্থিত জনসাধারণ প্রশাসকের কাছে তাদের ব্যবসা টিকিয়ে রাখতে বিকল্প ব্যবস্থা করার অনুরোধ জানালে প্রশাসক ফুটপাত অবমুক্ত করে ব্যবসা পরিচালনায় সার্বিক সহযোগিতা দিবে বলে জানান।
প্রশাসক পরিদর্শনকালে স্টেশন রোড, নিউমার্কেট মোড়ে চসিকের গণশৌচাগার থেকে অবৈধভাবে পানি বিক্রির সময় হাতেনাতে ধরে পাইপ জব্দ করে নেন এবং সঙ্গে সঙ্গে পানি বিক্রি বন্ধের নির্দেশনা দেন।
এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, আমার কাছে তথ্য রয়েছে কিছু অসৎ ব্যক্তি নিজেদের স্বার্থ চরিতার্থ করতে চসিকের পানি বিক্রির রমরমা ব্যবসা করছে। যা কোনভাবেই মেনে নেওয়া যায় না। তাই আজ থেকে এই পানি বিক্রি বন্ধ। এজন্য আমার পক্ষ থেকে মনিটরিং করা হবে একইসঙ্গে গণশৌচাগারের ইজারা বাতিল করা হবে। যদি এমন কাজে জড়িত কাউকে পাওয়া যায় তাহলে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
তিনি আরো বলেন, চট্টগ্রামের হারানো গৌরব ও ঐতিহ্য ফিরিয়ে আনতে আমার প্রচেষ্টা অব্যাহত থাকবে। আমার মেয়াদকালীন সময়ে চট্টগ্রাম শহর উন্নয়নে একটি গাইড লাইন দাঁড় করিয়ে যাব। যাতে পরবর্তীরা তা অনুসরণ করে কাজে লাগাতে পারে।
এসময় উপস্থিত ছিলেন প্রশাসকের একান্ত সচিব মো. আবুল হাশেম ও চসিক নির্বাহী প্রকৌশলী বিপ্লব কুমার দাশ।