‘খিচুড়ি রান্নার জন্য নয়, অন্যান্য দেশে স্কুলে মিড ডে মিল (দুপুরের খাবার) কীভাবে দেওয়া হয় সেই অভিজ্ঞতা অর্জনের জন্য বিদেশে প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা রাখা হয়েছে।’
মঙ্গলবার (১৫ সেপ্টেম্বর) সচিবালয়ে নিজ দপ্তরে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের জ্যেষ্ঠ সচিব আকরাম-আল-হোসেন।
সচিব বলেন, এই প্রশিক্ষণের জন্য মোট প্রকল্পের অতি অল্প অর্থ ব্যয় ধরা হয়েছে। এ ব্যয় কোনো অপচয় নয় বরং অভিজ্ঞতা অর্জনে প্রশিক্ষণের ব্যবস্থাটা রাখা হয়েছে। আর এ প্রকল্পের কোনো অর্থ এখনো ছাড়া হয়নি। পরিকল্পনা কমিশন কিছু জিজ্ঞাসা পাঠিয়েছে। তার জবাব পাঠানো হবে। এরপর একনেকে চূড়ান্ত অনুমোদন হবে।
তিনি জানান, স্কুল ফিডিং প্রকল্প ১০৪টি উপজেলায় চালু ছিল যা ডিসেম্বরে শেষ হচ্ছে। আগামী বছর থেকে দেশের সব স্কুলে দুপুরের খাবার দেওয়া হবে। এটা বাস্তবায়ন সঠিকভাবে করার জন্য ভারতসহ যেসব দেশ মিড ডে মিল চালু করেছে, সেসব দেশ থেকে অভিজ্ঞা অর্জনের জন্য এক হাজার কর্মকর্তার এ প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা রাখা হয়েছে।
প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর (ডিপিই) সূত্রে জানা গেছে, খিচুড়ি রান্না ও পরিবেশন শিখতে প্রাথমিক বিদ্যালয়ে স্কুল ফিডিং কার্যক্রমের আওতায় এসব কর্মকর্তারা বিদেশ সফর করবেন।
ডিপিই ও পরিকল্পনা কমিশন সূত্রে জানানো হয়, সফরে গিয়ে কর্মকর্তারা এ ধরনের প্রকল্পের জন্য বাজার থেকে কীভাবে দ্রব্য কেনা হয়, খিচুড়ি রান্নার নিয়ম এবং তা বিতরণের উপায় সম্পর্কে ধারণা নেবেন। প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়, ডিপিই, পরিকল্পনা কমিশন এবং বাস্তবায়ন, পরিবীক্ষণ ও মূল্যায়ন বিভাগের কর্মকর্তারা পাঁচ বছরের মধ্যে এই সফরের সুযোগ পাবেন।