আওয়ামী লীগ কেন্দ্রীয় কমিটির বন ও পরিবেশ সম্পাদক দেলোয়ার হোসেন চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগ ও অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের প্রত্যেক নেতাকর্মীকে তিনটি করে গাছের চারা রোপণ করার নির্দেশনা দিয়েছেন।
মঙ্গলবার (১৫ সেপ্টেম্বর) দক্ষিণ পতেঙ্গা ওয়ার্ডের সী বীচে চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের উদ্যোগে ৪৩টি সাংগঠনিক ওয়ার্ড জুড়ে বাস্তবায়িত গাছের চারা বিতরণ কর্মসূচির সমাপনী অনুষ্ঠিত হয়। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ নির্দেশনা দেন।
তিনি বলেন, জাতিরজনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্ম শতবার্ষিকী স্মরণে সারাদেশে এক কোটি গাছের চারা রোপণ করার নির্দেশনা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। কিন্তু করোনাকাল ও ৩৪ জেলায় বন্যার কারণে আমাদের কর্মসূচি বাস্তবায়নে সাময়িক সমস্যা হয়েছে। তবে সারাদেশে এক কোটি নয় এ কর্মসূচির আওতায় আমাদের প্রায় পাঁচ থেকে সাত কোটি গাছের চারা লাগানোর সক্ষমতা রয়েছে।
তিনি আরো বলেন, সমুদ্র, পাহাড় পরিবেষ্টিত এ চট্টগ্রামের মানুষ যেকোনো প্রাকৃতিক দুর্যোগের পূর্বাভাস পেলে আতঙ্কে থাকেন। জীবনের ঝুঁকিতে অনিদ্রায় রাত কাটান। প্রাকৃতিক বিপর্যয় থেকে এই চট্টগ্রামকে বাঁচাতে হলে বৃক্ষ রোপণই একমাত্র উপায়।
অনুষ্ঠানে প্রধান বক্তার বক্তব্যে নগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সাবেক সিটি মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন বলেন, বৃক্ষ চারা রোপণ কর্মসূচির আওতায় এবার নতুন উদ্যোগ বাস্তবায়ন করা হবে। নগরের পাহাড় ধস, সিলট্রেশন রোধ করার জন্য সকল পাহাড়ে বৃক্ষ রোপণ করা হবে। প্রতি বর্ষা মৌসুমে এই চট্টগ্রাম মহানগরে পাহাড় ধসে নিরীহ লোকের প্রানহানি ঘটে। আবার ভূমি দস্যুরা পাহাড় দখল করে রাতের আঁধারে মাটি কেটে পাহাড়গুলো নিশ্চিহ্ন করে ফেলছে। তাই পাহাড় বাঁচাতে হলে বৃক্ষ রোপণের বিকল্প নেই।
মহানগর আওয়ামী লীগের উদ্যোগে এবার পাহাড়গুলোতে গাছ রোপণ করা হবে। একইসঙ্গে উপকূলীয় অঞ্চলে ও নদী অববাহিকায় গাছের চারা রোপণ করবে নগর আওয়ামী লীগ।
তিনি আরো বলেন, কাগজে কলমে কমিটিতে অনেকেই পদে আছেন। কিন্তু সাংগঠনিক কোনো কর্মকাণ্ডে তাদের দেখা যাচ্ছে না। বাহ্য দৃষ্টিতে দলের সাংগঠনিক শক্তি দৃশ্যমান হলেও বাস্তবতা ভিন্ন। ৪৩ ওয়ার্ড ও ১২৯ টি ইউনিট কমিটি রয়েছে। একেকটা কমিটির বয়স ১৫-৩০ বছর পর্যন্ত হয়েছে। নেতাদের অনেকেই পদে থেকে মৃত্যুবরণ করেছেন। আবার বয়সের ভারে অনেকেই বর্তমানে নিস্ক্রিয়। এতে করে প্রত্যেকটি কমিটির অনেক পদে শূন্যতা সৃষ্টি হয়েছে। কেন্দ্রের নির্দেশনা মোতাবেক ইউনিট, ওয়ার্ড এবং থানা কমিটিগুলোতে শূণ্যপদ পূরণের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। সাংগঠনিক রীতি অনুযায়ী চেইন অব কমান্ডের ভিত্তিতে শূণ্যপদে নতুন নেতৃত্ব নির্বাচন করা হবে। এ ব্যাপারে আগামীকাল ১৬ সেপ্টেম্বর অনুষ্ঠিত বর্ধিত সভায় চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হবে।
এতে সভাপতিত্ব করেন দক্ষিণ পতেঙ্গা ওয়ার্ড আওয়ামী লীগ সভাপতি ছালেহ আহমদ।
সাধারণ সম্পাদক নুরুল আলমের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত সভায় বক্তব্য রাখেন নগর আওয়ামীলীগ ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মাহতাব উদ্দিন চৌধুরী, সহসভাপতি চসিক প্রশাসক খোরশেদ আলম সুজন, যুগ্ম সম্পাদক মেয়রপ্রার্থী রেজাউল করিম চৌধুরী, এমএ রশিদ, উপদেষ্টা শফর আলী , সাংগঠনিক সম্পাদক নোমান আল মাহমুদ, চৌধুরী হাসান মাহমুদ হাসনী, বন ও পরিবেশ সম্পাদক মসিউর রহমান চৌধুরী, যুব ও ক্রীড়া সম্পাদক দিদারুল আলম চৌধুরী, তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক চন্দন ধর ও আইন সম্পাদক অ্যাডভোকেট শেখ ইফতেখার সাইমুল চৌধুরী।