হাটহাজারীর আল জামিয়াতুল আহলিয়া দারুল উলুম মঈনুল ইসলাম (বড় মাদ্রাসা) মাদ্রাসার দায়িত্ব তুলে নিলেন শুরা কমিটি।
শনিবার (১৯ সেপ্টেম্বর) দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে হাটহাজারী মসজিদের মাইক থেকে শুরা কমিটির সদস্য মাওলানা সালাউদ্দিন নানুপুরী এ ঘোষণা দেন।
তিনি বলেন, আমি মাওলানা সালাউদ্দিন নানুপুরী। আল্লামা শফী হুজুর আমাদের মুরুব্বি ছিলেন। আমরা সবাই আল্লামা শফী হুজুরের জন্য দোয়া করব। মাদ্রাসা নিয়ে চলমান সংকট নিরসনে শুরা কমিটি মাদ্রাসার দায়িত্ব পালন করবে। আমি আল্লামা শফী হুজুরের জানাজা-দাফনের পরে দ্রুত সময়ের মধ্যে মাদ্রাসার পরিচালক নিয়োগ করব। পরিচালক নিয়োগের পূর্বসময় পর্যন্ত শুরা কমিটি মাদ্রাসা পরিচালনা করবে।
প্রসঙ্গত, হাটহাজারী মাদ্রাসার মহাপরিচালকের পদ থেকে স্বেচ্ছায় সরে যাওয়ার ঘোষণা দেন দেশের শীর্ষ কওমী আলেম ও হেফাজতে ইসলামের আমির আল্লামা আহমদ শফি। বৃহস্পতিবার রাতে আল্লামা আহমদ শফীর সঙ্গে বৈঠকের পর এ ঘোষণা দেন হাটহাজারী মাদ্রাসার শুরা সদস্য মাওলানা নোমান ফয়েজী।
তিনি ঘোষণায় জানিয়েছিলেন, ‘আল্লামা আহমদ শফীর সঙ্গে বৈঠকের পর আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের কাছে তিন সিদ্ধান্ত জানাই। সিদ্ধান্তগুলোর মধ্যে রয়েছে-আল্লামা আহমেদ শফী হাটহাজারী মাদ্রাসার মহাপরিচালক থেকে স্বেচ্ছায় অব্যাহতি নিয়ে সদরে মুহতামিম (উপদেষ্টা) হিসেবে দায়িত্বভার গ্রহণ, নুরুল ইসলাম কক্সবাজারিকে মাদ্রাসার সব কর্মকাণ্ড থেকে অব্যাহতি এবং আনাস মাদানীকে বহিস্কারের সিদ্ধান্ত বহাল রাখা।’
তিনি আরো জানিয়েছিলেন, যদিও আল্লামা আহমদ শফী অনুসারিদের দাবি-দুইজন শুরা সদস্য বসে মাদ্রাসার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে পারেন না। মাদ্রাসার সর্বোচ্চ নীতি নির্ধারণী কমিটি মজলিশে শুরা মতামতের ভিত্তিতে মাদ্রাসার যাবতীয় সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
উল্লেখ্য, মসজিদের মাইক থেকে দেওয়া ঘোষণায় মাওলানা সালাউদ্দিন নানুপুরী আরো জানান, বর্তমানে হাটহাজারী মাদ্রাসায় দেশের শীর্ষ আলেমরা অবস্থান করছেন।