নাম তার সোলায়মান। পেশায় সিকিউরিটি সুপারভাইজার হলেও কখনো সরকারি বা সেনা কর্মকর্তা পরিচয়ে নয় বছরে বিয়ে করেছেন নয়টি। এর বাইরেও রয়েছে চারজন প্রেমিকা। তবে তাদেরও নিরাশ করেননি, দিয়েছেন বিয়ের প্রতিশ্রুতি।
জানা গেছে, শুধু বিয়ে নয়, চাকরি দেওয়ার নাম করেও শ্বশুরবাড়ির স্বজনদের কাছ থেকে হাতিয়ে নিয়েছেন লাখ লাখ টাকা। অবশেষে চট্টগ্রামে গোয়েন্দা পুলিশের হাতে ধরা পড়েছেন প্রতারক সোলায়মান।
প্রতারক সোলায়মানকে নিয়ে আগেই বেশ কিছু তথ্য পেয়েছিল গোয়েন্দা পুলিশ। কিন্তু সুনির্দিষ্ট অভিযোগ না পাওয়ায় তাকে আটক করা যাচ্ছিল না। শেষ পর্যন্ত ১৫ বছর বয়সী এক কিশোরীর মামলার প্রেক্ষিতে অভিযান চালিয়ে পাহাড়তলী থেকে তাকে আটক করে গোয়েন্দা পুলিশ।
অতিরিক্ত উপকমিশনার আবু বকর সিদ্দিকী বলেন, বিভিন্ন অফিস বা আর্মির বিভিন্ন সদস্যদের পোশাক পরা ছবিতে নিজের মুখ লাগিয়ে সেভাবে উপস্থাপন করেছে।
আটকের পর প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে সোলায়মান স্বীকার করে নানা পরিচয়ে নয় বছরে নয়জনকে বিয়ে করার পাশাপাশি আরো কয়েকজনকে বিয়ের আশ্বাস দেওয়ার কথা।
বিয়ে করেই প্রতারণার শেষ নয় সোলায়মানের। স্ত্রীদের দিয়ে যেমন এনজিও থেকে লাখ লাখ টাকা ঋণ নিয়ে আত্মসাৎ করেছে, তেমনি চাকরি দেওয়ার কথা বলে শ্বশুরবাড়ির স্বজনদের কাছ থেকেও টাকা হাতিয়েছে সে।
উপপরিদর্শক মনির হোসেন বলেন, সবাই জানতো সেনাবাহিনীর কর্মকর্তা। এই বিশ্বাস থেকেই সবাই তাকে টাকা দিয়েছে। আর সে এভাবেই সবার টাকা হাতিয়ে নিয়েছে।
বিয়ে পাগল প্রতারক সোলায়মানের বাড়ি বরগুনা। জানা গেছে সেখানেও তার বিরুদ্ধে একাধিক বিয়ের অভিযোগ রয়েছে।