স্ত্রীর নামে গাড়ি-বাড়ি করেও রেহাই পেলেন না কক্সবাজারের টেকনাফ থানার বরখাস্ত ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) প্রদীপ কুমার দাশ। নিজের সব সম্পদই তিনি স্ত্রী চুমকির নামে রেখেছিলেন। কিন্তু আদালত চুমকির সব স্থাবর-অস্থাবর সম্পদ ক্রোকের আদেশ দিয়েছেন।
দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) দায়ের করা মামলায় রোববার (২০ সেপ্টেম্বর) এ আদেশ দেন মহানগর সিনিয়র স্পেশাল দায়রা জজ শেখ আশফাকুর রহমানের আদালত। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ও দুদকের সহকারী পরিচালক মো. রিয়াজ উদ্দিনের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আদালত এ আদেশ দেন।
ক্রোকের আদেশ দেওয়া সম্পত্তির মধ্যে রয়েছে চুমকির নামে নগরের পাথরঘাটা এলাকার দুই ইউনিটের একটি ছয়তলা বাড়ি, নগরের মুরাদপুর এলাকার সেমিপাকা বাড়ি, কক্সবাজারে ফ্ল্যাট, একটি মাইক্রোবাস, একটি প্রাইভেট কার এবং নগরের আছদগঞ্জের বেসিক ব্যাংক থাকা ১৭ লাখ ৭৩ হাজার টাকার হিসাব।
দুদক জানায়, নগরের পাথরঘাটা এলাকার ছয়তলা বাড়িটি চুমকি তাঁর বাবার কাছ থেকে দানপত্র মূলে পেয়েছেন বলে সম্পদ বিবরণীতে উল্লেখ করেন। কিন্তু চুমকির দুই ভাই ও আরেক বোন বাবার কাছ থেকে কোনো বাড়ি পাননি। তাঁরা স্বাভাবিক জীবন যাপন করছেন। এতে বোঝা যায়, প্রদীপ ঘুষ ও দুর্নীতির মাধ্যমে ওই বাড়ি করেছেন। তবে কাগজপত্রে শ্বশুরের নাম রাখেন। পরে ২০১৩ সালে শ্বশুর থেকে দানপত্রমূলে নিবন্ধন করে নেন। ওসি প্রদীপের সব সম্পত্তিই তাঁর স্ত্রী চুমকির নামে। চুমকির কোনো বিশ্বাসযোগ্য জ্ঞাত আয়ের উৎসই নেই। অথচ চুমকির নামে ৪ কোটি ৪৪ লাখ ১৮ হাজার ৮৬৯ টাকার সম্পদ থাকার প্রমাণ মিলেছে।
জয়নিউজ/হিমেল