ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের সাবেক সহসভাপতি (ভিপি) নুরুল হক নুরের বিরুদ্ধে একে একে দুটি মামলা হয়েছে। তবে দুটি মামলার বাদী একই তরুণী। মামলা দুটির আসামিও অভিন্ন। তবে দুটি মামলার অভিযোগে ভিন্নতা রয়েছে।
আগের মামলায় নুরের বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়েছিল ধর্ষণে সহায়তার। আর এবারের মামলায় অভিযোগ- তরুণীকে অপহরণ, পারস্পরিক সহযোগিতায় ধর্ষণ এবং সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে হেয় প্রতিপন্ন করার।
এবারের মামলাটিতে দুটি ধারা উল্লেখ করা হয়েছে। একটি নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন, আরেকটি ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন।
মঙ্গলবার (২২ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর কোতোয়ালি থানায় ভুক্তভোগী ওই তরুণী নিজেই বাদী হয়ে মামলাটি করেন।
এ মামলায়ও আগের মামলার ছয়জনকেই আসামি করা হয়েছে। তারা হলেন- বাংলাদেশ ছাত্র অধিকার পরিষদের যুগ্ম আহ্বায়ক নাজমুল হাসান সোহাগ (২৮), একই সংগঠনের আহ্বায়ক হাসান আল মামুন (২৮), ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের (ডাকসু) সাবেক ভিপি নুরুল হক নুরু (২৫), বাংলাদেশ ছাত্র অধিকার পরিষদের যুগ্ম আহ্বায়ক মো. সাইফুল ইসলাম (২৮), বাংলাদেশ ছাত্র অধিকার পরিষদের নাজমুল হুদা (২৫) এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী আব্দুল্লাহহিল কাফি (২৩)।
মামলায় ঘটনার সময় উল্লেখ করা হয়েছে চলতি বছরের ৯ ফেব্রুয়ারি সন্ধ্যা ৭টা ৪০ মিনিট থেকে রাত সাড়ে ৮টা পর্যন্ত। আর স্থান উল্লেখ করা হয়েছে, কোতোয়ালি থানা এলাকার সদরঘাট হোটেল অ্যান্ড রেস্টুরেন্ট।
এর আগে সোমবার (২১ সেপ্টেম্বর) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ওই শিক্ষার্থী ধর্ষণ মামলা দায়ের করেছিলেন। যাতে নুরসহ ওই ছয়জনকে আসামি করা হয়।
এ মামলার প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল করলে ভিপি নুরসহ ছয়জনকে আটক করে পুলিশ। অবশ্য পরে তাদের ছেড়ে দেওয়া হয়। এরপর নুর বলেন, “কী কারণে ধরা হলো আর ছাড়া হলো বুঝিনি।”
তবে পুলিশের বক্তব্য, বিক্ষোভ মিছিলে বাধা দিলে তারা পুলিশের ওপর হামলা চালায়। এ কারণেই তাদের আটক করা হয়।
জয়নিউজ