ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের (ডিএনসিসি) মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম বলেছেন, চিকিৎসার জন্য বেসরকারি হাসপাতালগুলো ডাকাতের মতো টাকা নেয়। হাসপাতালে ঢোকার আগে পয়সা দিতে হচ্ছে। জমি-জমা বেচে বিল পরিশোধ করছে। অত্যন্ত ব্যয়বহুল চিকিৎসা করছে বিভিন্ন হাসপাতালগুলোতে। চেকআপের নামে তাদের বিল অনেক বেশি। চেকআপ, বিভিন্ন পরীক্ষার বিল ডাকাতির মতো। এটা হতে পারে না।
বৃহস্পতিবার (২৪ সেপ্টেম্বর) সচিবালয়ে সিটি কর্পোরেশন এলাকাসহ নগরবাসীর জনস্বাস্থ্য বিবেচনায় সারাদেশে চিকিৎসা বর্জ্যের নিরাপদ ব্যবস্থাপনা এবং এ বিষয়ে সিটি কর্পোরেশনের সঙ্গে সমন্বয় বিষয়ে পর্যালোচনার জন্য আন্তঃমন্ত্রণালয় সভায় তিনি এ কথা বলেন।
তিনি আরো বলেন, ভালো কথা তারা বিল নেবে, কিন্তু তাদের বর্জ্যগুলো ঠিকমতো ফেলছে? তারা তাদের বর্জ্যগুলো ঠিকমতো ফেলছে না। এটি মনিটরিং করা হচ্ছে না। যত্রতত্র তারা তাদের বর্জ্যগুলো, আমি নিজে দেখেছি, ছবি আছে। বিভিন্ন ক্লিনিকগুলো ট্রিটমেন্ট করার পর ইউরিনের স্যাম্পল, ব্লাডের স্যাম্পল, স্টুলের স্যাম্পল রাস্তার উপর ফেলে দিয়েছে। অত্যন্ত দুর্ভাগ্যজনক, এটি হলো বাস্তবতা। ‘তাই ক্লিয়ার মেসেজ দেয়া দরকার, কোনো ধরনের বর্জ্য রাস্তায় তো ফেলার প্রশ্ন ওঠে না। আইনকেও তারা বৃদ্ধাগুলি দেখাচ্ছে’।
আতিকুল ইসলাম বলেন, সবকিছুই কিন্তু অবৈধ হয়ে যাচ্ছে। গ্যাসের লাইন অবৈধ, ইলেকট্রিক লাইন অবৈধ, বিলবোর্ড অবৈধ, সাইনবোর্ড অবৈধ, রাস্তার মধ্যে যত ধরনের রড, সিমেন্ট, বালি সবই অবৈধ। কিন্তু এই অবৈধ কিন্তু আর দেয়া যাবে না মন্ত্রী। তাই আজকের মিটিং থেকে একটা ম্যাসেজ দেয়া দরকার, যারা অবৈধভাবে একটার পর একটা কাজ করে যাচ্ছে তাদের জন্য মেসেজ। যার যার বর্জ্য কবে থেকে নির্দিষ্ট জায়গায় ফেলতে হবে তা বলে দিতে হবে, এর কোনো বিকল্প নেই।
কবে থেকে অভিযান চালানো শুরু হবে সেই তারিখ দিতে মন্ত্রীকে অনুরোধ জানিয়ে মেয়র আতিক বলেন, আমি মনে করি অভিযানের কোনো বিকল্প নেই। যে হাসপাতালগুলো আমার কাছ থেকে টাকা নিয়ে নিয়ে তারা অনেক বড়লোক হচ্ছে। ভালো কথা, কিন্তু তারা তাদের নিয়ম মেনে চলছে না, তাদেরকে একটি নিয়মের মধ্যে আনতেই হবে।
স্থানীয় সরকারমন্ত্রীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের মেয়র শেখ ফজলে নূর তাপস এবং স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়, পরিবেশ বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
জয়নিউজ/পিডি